হলফনামায় যা উলে্লখ করতে হবে

>হলফনামা হবে লিখিত। এত

হলফকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা, বাব

মায়ের নাম, জাতীয়তা, বয়স, পেশা

ধর্ম উলে্লখ করতে হবে। সঙ্গে দিত

হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্ব

হলফকারী ব্যক্তি কী বিষয়ে, ক

কারণে ও কেন হলফ করছেন তঁার পূর্ণা

বিবরণ দিতে হবে।

>কোনো জমিজমা নিয়ে হলে জম

তফসিল উলে্লখ করতে হবে।

>বিয়েসংক্রান্ত হলে স্বামী-স্ত্র

উভয়ের নাম, বাবা-মায়ের না

ঠিকানা, বয়স ও পেশা উলে্লখ করত

হবে। বিয়ের তারিখ, কত টাক

দেনমোহর নির্ধারণ হয়েছে এব

দেনমোহরের কত টাকা পরিশোধ কর

হয়েছে সেটাও উলে্লখ থাকতে হব

প্রয়োজনে সাক্ষীদের নাম ঠিকান

দিতে হবে। বিবাহবিচ্ছেদ

ক্ষেত্রেও এসব তথ্য উলে্লখ করতে হব

কী কারণে তালাক দেওয়া হয়েছে

স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে। তব

বিয়ের হলফনামায় স্বামী ও স্ত্র

দুজনের স্বাক্ষর লাগব

বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে যিন

বিবাহবিচ্ছেদের হলফনামা করছেন

তিনি স্বাক্ষর দেবেন।

>যেকোনো হলফনামায় অবশ্যই য

তারিখে হলফনামাটি সম্পাদন কর

হচ্ছে সেই তারিখটি উলে্লখ করত

হবে।

>নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পূর্ব নাম ক

ছিল এবং বর্তমান নামে কী সংশো

হয়েছে তা স্পষ্ট করে লিখতে হবে।

>হলফকারীকে হলফনামার সঙ্গ

পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছব

দিতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।

>হলফনামার শেষ অংশে এক

আইনজীবীর মাধ্যমে শনাক্ত করাত

হবে এবং আইনজীবীকে উলে্লখ করত

হবে এই হলফনামাটি তার সামনে সম্প

করা হয়েছে। আইনজীবীকে আইনজীব

সমিতির সদস্য নম্বরসহ হলফনামায় স্বাক্

করতে হবে। মনে রাখতে হব

যেকোনো হলফনামা করার জ

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে বিষয়

হলফনামাটি করা হচ্ছে তার সত্যত

বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থা

করা।

কীভাবে সম্পাদন করতে হবে

হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ২০০ টাক

ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। তব

বিবাহবিচ্ছেদের হলফনামা করতে হব

৫০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প

হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাই

নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণ

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যম

সত্যায়ন করাতে হবে। নিয়ম হচ্ছে যিন

হলফনামাটি করলেন তিনি নোটার

পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণ

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামন

তঁার হলফনামাটি সম্পর্কে সত্যপ

করবেন। তখন নোটারি পাবলিক ব

ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামাটি যাচা

বাছাই করে এর ওপর স্বাক্ষর দেব

এবং একটি বিশেষ সরকারি সি

ব্যবহার করে এতে ক্রমিক নম্বর বসাবে

হলফনামাটির একটি ফটোকপি তিন

রেখে দেবেন।

জেনে রাখুন

কোনো মামলা-মোকদ্দমা দায়

করলে ক্ষেত্রবিশেষে হলফনাম

আদালতে দাখিল করতে হয়। বিশ

করে দেওয়ানি মোকদ্দম

অন্তর্বর্তীকালীন কোনো প্রতিক

চাইলে এবং এর জবাব দিল

বিচারপ্রার্থীকে হলফনামা দিতে

দরখাসে্তর বা জবাবের সঙ্গে।

হলফনামায় ছবি লাগে না এব

আদালতের সেরেস্তাদারের সামন

স্বাক্ষর করতে হয়। সেরেস্তাদ

যাচাই-বাছাই করার পর আদালতে

প্রেরণ করেন। জমি কেনা-বেচ

দলিলের সঙ্গে দলিল নিবন্ধনের স

হলফনামা দিতে হয় সাবরেজিস্ট্র

অফিসে।

নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে হলফনাম

করার পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিত

হবে। হলফনামা দিয়ে বয়স পরিবর্তন কর

যাবে না। কোনো বিয়ের ক্ষেত্র

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক আ

অনুযায়ী প্রথমে বিয়ে সম্পন্ন করত

হবে। তারপর তঁারা ইচ্ছা করল

হলফনামা করে রাখতে পারে

পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে ন

করে শুধু এ হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত ন

শুধু হলফনামা সম্পাদন করলেই আ

অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে বলা যাবে ন

তালাকের ক্ষেত্রেও পারিবার

আইন মেনে তালাক দিতে হব

মুসলমান হলে কাজির মাধ্যম

তালাকের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প

তালাকের হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ