আমি আমার Girlfriend কে যদি কোট মেরেজ করি তাহলে মেয়ের বাবা কি আমার নামে কোনো মামলা করতে পারবে? আর কোট মেরেজে এর বিষয়টা বিস্তারিত জানবেন প্লিজ
Share with your friends
Call

ছেলে- মেয়ে যদি, সাবালক - সাবালিকা হয় এবং ভোটার আইডিকাড' অনুযায়ি বয়স ১৮ বছরের উদ্ধে' বাংলাদেশী হয় তাহলে  সাক্ষী দিয়ে আপনি কোটে' বিবাহের কায সম্পাদন করতে পারবেন।

পরবতিতে' আপনাদের বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগে কেউ মামলা করলে তা আইনানুযায়ী অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

Talk Doctor Online in Bissoy App

এধরনের ক্ষেত্রে সাধারনত মিথ্যা অপহরনের মামলা দিয়ে ফাসানো হয় কিন্তু যদি প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ (পুরুষের জন্য কমপক্ষে ২১ বছর, আর নারীর জন্য ১৮ বছর) দুইজন স্বাক্ষী নিয়ে যথাযথ নিয়মে কাজী অফিসে বিয়ে করে তাহলে কোন মিথ্যা মামলাই প্রমান করা সম্ভব হবে না তবে বিয়ে একটা সামাজিক রীতিও বটে তাই দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করাই উত্তম।

আর কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন কিছু আইনে নেই। যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এই রুপ কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময় যদি এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার পাবেনা।

পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা একশত পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে।

যদি কাবিন রেজিষ্ট্রী করা না হয় তাহলে স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে ব্যার্থ হবে। অধিকিন্তু আইন অনুযায়ী তার বিয়ে প্রমান করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই ক্ষেত্রে সঙ্গী কর্তৃক প্রতারিত হবার সম্ভাবানাই অধিক।

Talk Doctor Online in Bissoy App