ত্বককে সুস্থ ও লাবণ্যময় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন বছরের প্রতিটি দিনই। বিশেষ করে শীত মওসুমে সঠিক ময়েশ্চারাইজার হতে হবে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। ময়েশ্চারাইজার মূলত তেল ও পানির বিশেষ মিশ্রণ। এর কাজ ত্বক আর্দ্র রাখা। শুষ্কতা রোধ করার পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানেরও জোগান দেয় ময়েশ্চারাইজার। শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম বেজড ময়েশ্চারাইজার উপযোগী । আপনি কয়েকটি উপাদানের সমন্বয়ে ময়েশ্চারাইজার লোশন ও মাস্ক তৈরি করতে পারেন। ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার * গোলাপজল ও গ্লিসারিনের মিশ্রণের সাথে পানি মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার লোশন- এটি হাত-পাসহ সম্পূর্ণ বডিতে লাগাতে পারেন শীত মওসুমে। এটি খুবই কার্যকর ময়েশ্চারাইজার। * অলিভ অয়েল ও মধু একসাথে মিশিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর গোসল করুন। এটিও বডি মাস্ক হিসেবে কার্যকর। * নারিকেল তেলের সাথে কাঁচা হলুদ বেঁটে এই মিশ্রণটি চুলায় গরম করে নিন। ঠা-া করে ছেঁকে এটি শরীরে মেখে নিন। এটি একটি হারবাল ময়েশ্চারাইজার। * মধু, টকদই, মুলতানি মাটি, হলুদ মিশিয়ে এই মাস্ক শরীরসহ ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। * ডিমের কুসুম, মধু, টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ময়েশ্চারাইজিং টিপস * গোসলের পর ত্বকে ভেজা ভাব থাকতে থাকতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বকে অতিরিক্ত ময়েশ্চার বজায় থাকে। * ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার অন্তত আধাঘণ্টা আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। * ক্লিনজিং টোনিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজিং করা উচিত। * প্রতিদিন সকালে ও রাতে হাতে-পায়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ম্যাসাজ করুন। অথবা ভ্যাসলিনের ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করতে পারেন।