অনেকের তো পেশাবের সাথেও বীর্য বের হয়।তাদেরকেও নামায , রোযা আদায় করতে হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

নামাজ রোজা ফরজ, তখন তিনি মাজুর

ব্যক্তি বলে বিবেচিত হবেন

।মাজুর ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্তে নতুন অজু করে সে অজু দিয়ে ঐ ওয়াক্তের ফরজ, ছুন্নাত ও নফল নামাজ পড়তে পারবে। এমন কি কোরআন তেলাওয়াত, দুরুদ বা জেকের আজকারও করতে পারবে। ওয়াক্ত শেষ হওয়ার সাথে সাথে তার অজু ভেঙ্গে যাবে। সে আগের অজুতে অন্য ওয়াক্তের কোন নামাজ পড়বে না। পড়লে নামাজ আদায় হবে না।


কারণ ২

কোন ওয়াক্তের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত পুরা সময় ওজরের অবস্থা প্রকাশ পেলে মাজুর হিসেবে গন্য হবে। যদি সম্পুর্ণ ওয়াক্ত ওজর প্রকাশ না পায় তবে মাজুর হিসেবে গণ্য হবে না। কোন ব্যক্তির জোহর ওয়াক্তের কিছু সময় চলে যাওয়ার পর ওজর প্রকাশ পেলে সে মাজুর হিসেবে অজু করে ঐ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবে। এরপর সম্পুর্ণ আছর ওয়াক্তের মধ্যে তার ওজর প্রকাশ না পেলে সে মাজুর হিসেবে গন্য হবে না। ফলে তার আগের জোহরের নামাজ যা সে মাজুর হিসেবে পড়েছিল, শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী তা আদায় হবে না। এ কারণে পুনরায় জোহরের নামাজ কাজা আদায় করে নেবে। অন্য ওয়াক্তের বেলায়ও একই হুকুম।


কারণ ৩

ওজর না থাকা অবস্থায় অজু করার পর অন্য ওয়াক্তের বেলায় একই হুকুম। পুনরায় ওজর প্রকাশ পেলে ঐ অজুতে নামাজ হবে না। নামাজের জন্য পুনরায় অজু করতে হবে।


কারণ ৪

যদি ওজর বন্ধ করে নামাজ পড়া যায় তবে তা বন্ধ করে নামাজ পড়া ওয়াজেব। যেমনঃ যখম-পট্টি দিয়ে বন্ধ করা, এস্তেহাজা-কাপড় দিয়ে বন্ধ করা। যদি বন্ধ না করে নামাজ পড়ে তাহলে সে নামাজ আদায় হবে না।


কারণ ৫

নামাজের মধ্যে পট্টি শুকিয়ে পড়ে গেলে।


কারণ ৬

মাজুর অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর ওজর দুর হয়ে গেলে নামাজ ফাছেদ হবে।


কারণ ৭

যদি কোন কাপড়ের অর্ধেক বা তার বেশী পরিমান অংশে নাপাকী লাগে। যদি অন্য কোন কাপড় থাকে তবে ঐ কাপড় পরে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।


কারণ ৮

মাঠে বা অন্য কোথাও নামাজ পড়ার ইচ্ছা করলে সেখানে নাপাকি ভিজা থাকলে তার উপর নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।

কারণ ৯

এমন শুকনা জায়গা যেখানে কাপড় বিছালে কাপড়ে জায়গার ছাপ লাগে এবং উহা নাপাকীযুক্ত হয় তবে উক্ত কাপড়েও নামাজ হবে না।

কারণ ১০

পথে ঘাটে বা মাঠে নামাজ পড়ার সময় যদি দুপায়ের নীচে (রূপার) এক গোল টাকা পরিমানের বেশী নাপাকী দেখা যায় তবে নামাজ ফাছেদ হবে।


কারণ ১১

ছেজদার সময় দুহাটু ও দুহাতের নীচে নাপাকী থাকলে নামাজ হবে না।

কারণ ১২

দু'পায়ের নীচের এবং সেজদার স্থানের নাপাকী একসাথে মিলালে এক গোল টাকা পরিমানের বেশী হলে নামাজ ফাছেদ হবে। 

কারণ ১৩

কাপড় বিছিয়ে নামাজ পড়লে যদি দু’পাল্লা এক সাথে সেলাই থাকে তবে নীচের পাল্লায় নাপাক থাকলেও নামাজ বাতেল হবে।

কারণ ১৪

নাপাকের ওপর বিছানা বিছিয়ে নামাজ পড়লে নাপাকের রং-গন্ধ পাওয়া গেলে নামাজ বাতেল হবে।

কারণ ১৫

সেলাই বিহীন দোপাল্লার নিচের পাল্লায় নাপাক লাগলে নাপাকীর রং দেখলে বা গন্ধ পেলে নামাজ বাতেল হবে।

কারণ ১৬

নাপাক জায়গা বা বিছানার উপর পাতলা কাপড় বিছালে যদি নাপাক দেখা যায় বা গন্ধ বোঝা যায় তবে নামাজ বাতেল হবে।

এর জন্য অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ