ব্রণ হওয়ার কারন- আমাদে ত্বকে অনেক গুলো "সিবাসিয়াস গ্রন্থি" থাকে যা থেকে সব সময় সিবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয় । লোমকুপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃন ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোন কারনে সিবাম এর নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় এবং লোমের গোড়ায় বিদ্ধমান কেরাটিন( এক ধরনের প্রোটিন জাতীয় পদার্থ) ধুলাবালির সঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্র পথ বা নির্গমন পথ বন্ধ করে দেয় ফলে সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসাবে প্রকাশ পায়। ব্রণ 'প্রোপাইনি ব্যক্টেরিয়াম একনিস' নামক এক ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়ে পরে তা আরো তীব্রতা লাভ করে। উল্লেখ্য সিবাসিয়াস গ্রন্থি শরীরের মধ্যে মুখের ত্বকে বেশি থাকে। তাই ব্রণ ও মুখে বেশি হয়। এন্ড্রোজেন নামক এক প্রকার হরমোনের প্রভাবে সিবামের উৎপাদন ও নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে এখান থেকেও ব্রণ সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক,মানসিক ও পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে ব্রণের তীব্রতা উঠা নামা করতে পারে। মানসিক অশান্তি, অতিরিক্ত চিন্তা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রতিবার মাসিকের আগে ব্রণের তীব্রতা বেড়ে যায়। যারা অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করেন তাদের ও ব্রণ হতে পারে। এছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি খেলেও ব্রণ হয়। ব্রণের চিকিৎসা - সব ধরনের প্রসাধন বর্জন করতে হবে, নখ দিয়ে ব্রণ খুটা খুটি করা যাবেনা। ভালো কোন সাবান বা ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে । মুখে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। মুখ ধোয়ার পর মধু মাখালে ব্রণ সেরে যায় কারন মধু এন্টি ব্যক্টেরিয়াল হিসাবে কাজ করে। সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই একজন ভালো ত্বক বিশেষজ্ঞ কে দেখাতে হবে।
ব্রন অনেক কারনেই হতে পারে যেমন বেশী বেশী রাত জাগলে, খুব বেশী টেনশন করলে,, বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম ব্রণ দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সের মাঝে,, ব্রণ হলে কী করবেন বা প্রতিকার :- দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন। ব্রণে হাত লাগাবেন না। তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন। মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন। রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ পরিহার করুন। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন। ব্রণ হলে কী করবেন না: রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন। তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না। চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়। অতিরিক্ত তেল, ঘি, মশলা খাবেন না।
ব্রণ সমস্যার কারণঃ
ব্রণ সমস্যার কারনে সৃষ্ট
ভোগান্তি দীর্ঘ দিনের। এটা
আমাদের ত্বককে বিচ্ছিরি করে
তোলে। মুখমন্ডল, গলা, বুকে ও
পিঠের উপরিভাগ আর হাতের
উপরিভাগে এই রোগটা হয়।
এসব জায়গায় ছোট ছোট দানা,
ছোট ছোট ফোড়া, সিস্ট,
এমনকি নোডিউল (Nodule)
হতে পারে। এ রোগটা
মুখমন্ডলেই সাধারণত বেশি
হয়। ব্রণ বেশিরভাগ সময়ে
গালে, নাকে কপালে আর
থুতনিতে হয়ে থাকে।
পিউবার্টি বা বয়ঃসন্ধিকালে
হরমোন টেস্ট্রোরেন আর
প্রোজেস্ট্রোরেনের প্রভাবে
ত্বকের সিবেসিয়াস গ্রন্থি
বেশি করে তেল নিঃসরণ শুরু
করে। তবে এই তেল বের হয়ে
আসতে পারে না। কারণ তেল
বেরিয়ে আসার পথটি
ক্রটিযুক্ত থাকে। তাই তেল
গ্রন্থির ভিতর জমতে শুরু
করে। জমতে জমতে এক সময়
গ্রন্থিটা ফেটে যায়। ফলে তেল
আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে
পড়ে। তখন ব্যাকটেরিয়া
তেলকে ভেঙে টিস্যুতে ফ্যাটি
এসিড তৈরী করে। এই ফ্যাটি
এসিড ত্বকের ভেতর সৃষ্টি
করে প্রদাহ। এর ফলে চামড়ার
মধ্যে দানার সৃষ্টি হয়। যা ব্রণ
নামে পরিচিত।
ব্রণ সমস্যার প্রতিকারঃ
১. ব্রণ প্রতিরোধে
সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে মুখের
তৈলাক্ততা কমাতে হবে।
তৈলাক্ততা কমানোর জন্য
ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে
কয়েকবার মুখ ধুতে হবে।
২. শুধু মুখ ঢুলে হবে না, যে
তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছবেন
সেটাও বারবার ধুয়ে পরিস্কার
রাখতে হবে।
৩. বেশি করে অ্যান্টি
অক্সিডেনট সমৃদ্ধ শাক-সব্জি
ও ফলমূল খেতে হবে। এবং
তৈলাক্ত, ঝাল, ভাজাপোড়া
খাবারসহ চকলেট, আইসক্রিম
ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাওয়া
কমাতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস
ব্রণকে রাখবে অনেকটাই দূরে।
৪. ব্রণ একবার হয়ে গেলে
খোঁটা যাবে না। খুঁটলে গর্ত হয়ে
যাবে। তাছাড়া হাত আর নখ
থেকে জীবাণু গিয়ে ব্রণকে
আক্রান্ত করে। ফলে ব্রণটা
ফোঁড়ায় রূপান্তরিত হয়। মুখে
গর্ত তৈরী করে। তাই হাত দিয়ে
বার বার ব্রণ স্পর্শ করা যাবে
না বা গালানো যাবে না।
৫. অনেকে ফর্সা হওয়ার জন্য
আর ব্রণের প্রতিকার হিসেবে
স্টেরয়েড অয়েনমেন্ট ব্যবহার
করে। এটা কোনোভাবেই করা
যাবে না। এতে চামড়ার প্রচন্ড
ক্ষতি হয়। স্টেরয়েড
অয়েনমেন্ট ব্যবহার করার
জন্য উল্টো ব্রণের সৃষ্টি হতে
পারে।
৬. ব্রণের জন্য যে দাগ গর্ত
হয়, তা দূর করার ব্যবস্থা
এখন দেশেই রয়েছে। তার মধ্যে
পাঞ্চ স্কাররিমুভার, স্কার
এলিভেশন, ডার্মাব্রেশন
পদ্ধতিতে গর্ত আর দাগ দূর
করে মুখের ত্বক স্বাভাবিক
অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যাচ্ছে।
৭. ব্রণ পেকে গেলে বা বেশী
হয়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের
শরণাপন্ন হতে হবে। বাসায়
কোন হাতুড়ে পদ্ধতি চেষ্টা
একদমই করা যাবে না।
(copied)
বহু কারনে আমাদের ব্রনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো হরমোন পরিবর্তন। যে কারনে বয়সন্ধিকালে ব্রন দেখা যায়। তাছাড়াও একটি অন্যতম কারন হলো অপরিষ্কার ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, অনিয়মিত ঘুম, বেশি রাত জাগা, টেনশন করা ইত্যাদি। তাই এর অন্যতম প্রতিকার হলো ত্বক পরিষ্কার রাখা, নিয়মিত ঘুম। আর এরপরেও বের হলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বেটনোভেট এন ব্যাবহার করা।
ব্রন হতাশা, দুশ্চিন্তা ও সাধারনত বয়সন্ধিকালে হয়ে থাকে।তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। ব্রন প্রতিকার করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মুখের তৈলাক্ততা দূর করা।তাই দিনে 5 বার নামাজ পড়ুন কারণ দিনে 5 বার মুখ ধৌত করলে, আপনার মুখের তৈলাক্ততা দূর হয়। যার কারণে ব্রণ নিমিষেই দূর হয়ে যায়। মুখের তৈলাক্ততা দূর করার পাশাপাশি আপনি যে বিছানায় রাতে ঘুমান, সে বালিশ এবং বিছানা অবশ্যই পরিষ্কার রাখবেন কারণ বালিশের কারণে অনেক সময় এমন হতে পারে। উপরের সহজ কিছু নিয়ম মেনে চলুন, আশাকরি আপনার ব্রণ ভাল হয়ে যাবে।ব্রনে বেশি হাত দিবেন না কারণ বেশি হাত দিলে আপনার ব্রণ ফেটে যেতে পারে, যার কারণে কালো দাগ সৃষ্টি হবে।