আপনি সরকারী কলেজে বিনা ভর্তি পরীক্ষায় পারবেন।।। কোন অসুবিদে হবে না। তিতুমীর কলেজ কলেজটির প্রতিষ্ঠা বত্সর ১৯৬৫। তিতুমীর কলেজ ঢাকার পুরাতন কলেজের মধ্যে একটি। পাকিস্তান শাসনামলে কলেজটি জিন্নাহ কলেজ নামে পরিচিত ছিল। কলেজটি সরকারী হওয়ার সুবাদে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে ছুটে আসে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার শুরুতে ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ে পাঠদান করা হতো। পর্যায়ক্রমে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম ডিগ্রী এবং অনার্স পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। অনার্স কার্যক্রম চালুর প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র বাংলা এবং রসায়ন বিষয়ে পাঠ দান করা হতো। তিতুমীর কলেজটির কলেজ কোড ৬৪২৩। কলেজটিতে দুটি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট রয়েছে; (১) বিএনসিসি এবং (২) রোভার স্কাউট। ঠিকানা ঠিকানা এবং অবস্থান সরকারী তিতুমীর কলেজ ওয়্যারলেস গেইট, মহাখালী, ঢাকা। ফোন: ৮৮-০২-৯৮৯৯৪৯০ ইমেইল: [email protected] ওয়েব: www.titumircollege.gov.bd ভর্তির নিয়মাবলী অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি এবং এইচএসসি তে সর্বমোট জিপিএ ৫ এবং পৃথকভাবে ২.৫ পেতে হবে। ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষায় একই নিয়ম প্রযোজ্য। ভর্তি পরীক্ষার ফরম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পুরন করে প্রিন্ট করে ফরমে প্রয়োজনীয় স্থানে পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হয়। অগ্রণী ব্যাংকে ৩০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে জমা দিতে হয়। ভর্তি ফরমের সাথে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার মূল সনদের ফটোকপি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছবি এবং প্রশংসা পত্র জমা দিতে হয়। ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা এবং আদিবাসী কোটা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০% এবং আদিবাসী কোটা ৫%। ছাত্রীদের জন্য কোন কোটা নেই। ফরম অফিসে জমা দেওয়ার সময় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার কোন নির্দিষ্ট সিলেবাস নেই। সাধারনত পাঠ্যবই এবং সাধারন জ্ঞান থেকে প্রশ্নপত্র করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়। প্রথমে মেধা তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়ার পর অপেক্ষমান তালিকা থেকে পরবর্তী ভর্তির জন্য সাক্ষাত্কারের জন্য ডাকা হয়। সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র, সনদপত্র সংগে নিতে হয়। ভর্তি ফি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রণীত। ভর্তি ফি ২৩০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা। প্রয়োজনীয় তথ্য কলেজে ২২টি বিভাগে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি বিভাগে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর এবং তিনটি বিভাগে স্নাতক পাস কোর্স পড়ানো হয়। তবে এসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য কলেজে শ্রেণীকক্ষ আছে মাত্র ২৬টি। বিজ্ঞান, কলা (মাস্টার্স ভবন) ও বাণিজ্য এই তিনটি ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ভবনে ১৩টি, বাণিজ্য ভবনে আটটি ও কলাভবনে মাত্র পাঁচটি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। কলেজটিতে মোট শিক্ষক সংখ্যা ৪৩ জন এবং ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৪৩,০০০। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ল্যাবরেটরী রয়েছে মোট ৫টি। কলেজের ৪টি ভবন। ২টি ভবন ৪ তলা এবং দুটি ভবন ৩ তলা। কলেজে ছাত্রীদের জন্য তিনটি কক্ষের একটি ‘কমনরুম’ রয়েছে। কলেজে একটি ছাত্র ইউনিয়ন রয়েছে। এটি মূলত ছাত্রদের একটি কল্যাণমূলক সংস্থা। এই সংস্থাটি কলেজের বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত অসংগতি মোকাবেলা করে থাকে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন ক্লাসগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হঠাৎ কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিত্সা প্রদান করা হয়। ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে।