কেহ জানলে জানাবেন,,, দয়া করে
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুদ্রা আবিষ্কারের আগে প্রাচীনকালে মানুষ দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্যের লেনদেন করতো। আধুনিক অর্থনীতির পরিভাষায় একে বলে Barter” বা পণ্য বিনিময় প্রথা বলা হয়। এরপর মানুষ সব ধরনের পণ্যকে বাদ দিয়ে কেবল নিত্যদিন বহুল ব্যবহৃত কিছু পণ্যকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে। পরিভাষায় একে বলা হয়, Commodity money system” কিন্তু এসব পণ্যদ্রব্য বহন করা,স্থানান্তর করার ঝামেলা ছিল। বিধায় মানুষ তৃতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ ও রূপাকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে। বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে স্বর্ণ ও রূপা বেশ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। সকল দেশেই তা সমানভাবে গৃহিত হয়। কারণ এ দুটি ধাতব দ্রব্য সকলের নিকটই বেশ মূল্যবান ছিল। এগুলো স্থানান্তর,বহন এবং সংরক্ষণও ছিল মানুষের জন্য সহজসাধ্য ব্যাপার। অর্থনীতির পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে বলে, Metalic money system”” যুগের পরিক্রমায় এই পদ্ধতিতেও বেশ পরিবর্তন সাধিত হয়। সংক্ষেপে পরিবর্তনের ধারা ছিল নিম্নরুপ- ক. সোনা রূপাকে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর সূচনা কালটি ছিল বেশ হ-য-ব-র-ল। একেকটার সাইজ ও ওজন ছিল একেক রকম। কোন মুদ্রা সোনার টুকরোর আকৃতিতে থাকতো, কোনটা ঢালাইকৃত পাত্র বা অলংকারাদিও আকৃতিতে হত। তবে বিনিময়ের সময় ওজনের বিষয়টি মূখ্য থাকতো। খ. এরপর কিছু কিছু দেশে শুরু হয় ঢালাইকৃত স্বর্ণ মুদ্রার প্রচলন। আবার কিছু দেশে ঢালাইকৃত রূপার মুদ্রার প্রচলন। ওগুলো ওজন,পুরুতা এবং খাঁটি হওয়ার ক্ষেত্রে ছিল সমপর্যায়ের ও সমমানের। মুদ্রাগুলোর উভয় পিঠে মোহর অংকিত থাকতো। এটি একথার প্রমাণ বহন করতো যে, এই মুদ্রাটি বৈধ ও বিনিময়যোগ্য। মুদ্রার গায়ে যে ‘ফেইস ভ্যালু’ লেখা থাকতো তা ওই সোনা ও রূপার প্রকৃত মূল্যমানের সমমানের হত। এ পদ্ধতিকে বলা হয়, Gold specie standard” গ. কিছু দিন পর কোন কোন দেশ মুদ্রাকে এক ধরণের ধাতব মুদ্রায় সীমাবদ্ধ না রেখে একই সময় দুই ধরনের ধাতব মুদ্রার প্রচলন করে। একই সঙ্গে সোনা ও রূপাকে মুদ্রা হিসাবে প্রচলন দেয়। এবং দুটি মুদ্রার পারস্পরিক লেনদেন এবং বিনিময়ের জন্য এগুলোর নির্দিষ্ট একটি মূল্যমান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এ সময় সোনা ‘বড় মুদ্রা’ হিসাবে আর রূপা ‘ছোট মুদ্রা’ হিসাবে ব্যবহৃত হত। এ ব্যবস্থাকে বলা হয়, Bi – Metalism” উক্ত মুদ্রা ব্যবস্থায় এক জটিলতা দেখা দেয়। তা হল, সোনা ও রূপার পারস্পরিক লেনদেনের জন্য যে মূল্য স্থীর করা হত তা বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন ধরনের হত। যেমন আমেরিকায় একটি সোনার মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারিত ছিল রূপার মুদ্রায় ১৫ টি রূপ্য মুদ্রা। ঠিক ওই সময় ইউরোপে সোনার একটি মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারিত ছিল রূপার মুদ্রায় সাড়ে ১৫টি রূপ্য মুদ্রা। এ পরিস্থিতিই পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম জন্ম দেয় ‘মুদ্রা ব্যবসায়ের’। তাই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়,কখন সর্বপ্রথম টাকার আবিষ্কার হয়, মানুষের চাহিদার পরিক্রমায় বিভিন্ন বিবর্তন এর মধ্য দিয়ে আজকের এই টাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ