লিফটের ভেতর একটি কম্পিউটার সেন্সর স্থাপিত থাকে, এই সেন্সরই আসলে লিফটের চালিকা শক্তি। লিফট ডাকার জন্য যে বাটন থাকে, তাতে চাপদিলে সেন্সরে খবর পৌঁছে যায় এবং লিফট বুঝতে পারে যে তাকে কোন তলা থেকে ডাকা হচ্ছে। তবে সেন্সর অনুযায়ী এর কাজ করার ব্যাপারটা যথেষ্টই জটিল। লিফট ডাকার দু’টি বাটন থাকে এবং এ অনুসারে লিফট দু’টি পর্যায়েকাজ করে। কখনো কখনো দেখবে যে তুমি ৭ তলায় দাঁড়িয়ে নিচে নামার জন্য বাটনে চাপ দিলে, কিন্তু লিফট উপরে উঠতে উঠতে ৭ তলায় না থেমে সোজা ১০ তলায় গিয়ে নিচে নামার সময় ৭ তলায় থামল। এর মানে হল লিফট ৭ তলায় আসার আগে ১০ তলায় কেউ একজন বাটনে চাপ দিয়েছে, আর যেহেতু তুমিও নিচে যাবে, তাই ৭ তলায়থেমে সময় নষ্ট না করে ১০ তলায় গিয়ে একেবারে নামার সময় ৭ তলায় থামল। ব্যাপারটাএকটু মজার, তাই না? যেন লিফটেরও মানুষের মতো সময়জ্ঞান আছে!এ তো গেলো লিফট ডাকার কথা, এবার চলো লিফটে ওঠা যাক। লিফটে প্রবেশ করার পরপরই দেখবে দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। কিন্তু লিফট কীভাবে জানে যেতুমি প্রবেশ করেছো কিনা? আসলে লিফটের দরজাতেও একটি ছোট সেন্সর বসানো থাকে, যেটি বুঝতে পারে দরজার মাঝেকেউ দাঁড়িয়ে আছে কিনা। যদিওএই সেন্সরটি তেমন শক্তিশালী না, তাই মাঝেমধ্যেই অনেকে লিফটে ঢুকতে দেরী করে দরজাতে ছোটোখাটো একটা চাপা খেয়ে থাকেন।