কম কথা বলা- এই বিষয়ে অতি প্রাচীন কাল থেকে দীক্ষা চলে আসছে। কিন্তু কথার কথা হল অনেকই এই মজার ব্যপারটা রপ্ত করতে পারেন না। তাই একে সবচে’ কঠিন বলা যেতে পারে। কিন্তু এটাই প্রথম হাতিয়ার। যে ব্যক্তি শুধু দরকারি কথা বলেন তাকে সবাই শ্রদ্ধার সাথে দেখেন, ভয় করেন সমীহ করেন। এই লোকের শত্রু হয় কম। কথায় আছে , কথা কম কাজ বেশি। অন্যের কথা শুনাঃ নিজে না বলে অন্য সবার কথা শুনাই যুক্তিযুক্ত। অন্যরা কে কি বলল, কীভাবে বলল কেন বলল, এসব নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু অযাচিত কটাহ না বলে নিজেকে হালকা না করার পরামর্শ অনেকেই দিয়েছেন। যখন অন্যের কথা সব শুনা হয়ে যাবে তখন সেই সব লোক ভাববে কী ব্যপার এই লোক কিছুই বলছে না, কেন? এই কেনটাই আপনার জন্য দরকার। এটা আদায় করার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। স্বাভাবিক চলাফেরাঃ আপনার সাথে যায় এমন স্বাভাবিক চলাফেরা করা উচিত। অনেকই ভুল করেন, ভাব নিয়ে ফেলেন অতি উচ্চবিত্তের মতো। ভাই কাক হয়ে ময়ূরের মতো হাঁটলে সবাই তো হাসবে। তাই না? তাই যদি কাঁক হয়ে থাকেন তবে কাঁকের মতো চলুন, রাজ হাঁস কিঙ্গাব ময়ূর হতে যাবেন না। সুন্দর ব্যক্তিত্বের মানুষেরা সবযুগেই স্বাভাবিক ছিলেন। তারা চলাফেরায় অস্বাভাবিক হয়ে উঠেন নি কখনো। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন অসুস্থতার কারনে অস্বাভাবিক চলাফেরা করতে হয় মনে রাখবেন সেটাই আপনার স্বাভাবিক। মনেক কষ্ট পাবার কারন নেই। ন্যাচারাল বিষয়কে আপনি নিজেও অবহেলা করবেন না, অন্যকে দেখেও হাসবেন না। মেজাজের ভারসাম্য রক্ষাঃ একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যে কারনে কারো প্রতি মেজাজ দেখান কিংবা দেখাতে চান এই পৃথিবীর ১০০ভাগ মানুষের সবারি অই একই কারনে মেজাজ খারাপ হয়। কিন্তু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে কিছু মানুষ প্রচণ্ড খারাপ পরিশ্তিতির মাঝেও নীরব থাকতে পারেন। এটাই খেলা। ভারসাম্যের খেলা। যে এই খেলায় যত পারদর্শী সে তত বেশী সুন্দর ব্যক্তিত্ব। তাকে তত বেশি মানুষ শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। চরম মেজাজের ফলে ভয়ংকর রূপ যারা নেয় তাদেরকে সবাই ভয় পায়, সম্মান করে না। মন থেকে ভালবাসে না। পরিক্ষিত এটা। একজনের কথা অন্যজনের কাছে না বলাঃ ব্যক্তিত্বের অনেক গুলো অংশের মাঝে এই বিষয় হচ্ছে খুবই জরুরী। কারো যদি এই বিষয়ে বদভ্যাস থাকে তবে সে শেষ। তার আর কোন গতি নেই। এজন্যই এই গুনের মানুষের সবচে’ বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তিত্ব বলে কিছু থাকে না। সমস্যা হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষের এই অভ্যাস কম অথবা বেশি পর্যায়ের থাকে। যে যত বেশি চর্চা করতে পারে সে ততবেশি সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী। অন্যের প্রতি সম্মানঃ মানুষ মাত্রই সম্মান পাবার যোগ্য। নিজে সম্মান পেতে হলে অন্যকে সম্মান দিতে হবে আগে। তাই ছোট কিংবা বড়, জ্ঞানী কিংবা মুর্খ এসবের হিসাব না করে সম্মান প্রদর্শন করাই শ্রেয়। কাউকে শালা গালি দিয়ে কটাহ বললে সে কিন্তু মুখ বন্ধ করে রাখবে না। তাই যতদ্রুত পারা যায় এই বিষয়ে আর শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আন্তরিকতা আর মনোভাবের ফলে এই অভ্যাসের পরিবর্তন সম্ভব। হাসি মুখঃ অনেক রগের জন্য যেমন ঔষধ তেমনি ব্যক্তিত্বের চাবি। বিখ্যাত সব মানুষকে দেখুন কেমন হাসি খুশি।