যদি শিক্ষকের ভূমিকা বেশি হয় তবে "ভালো ফলাফল করার ক্ষেত্রে শিক্ষকের চেয়ে পরিবারের ভূমিকাই বেশি"এর বিপক্ষে একটি বিতর্ক লিখে দিন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সম্পূর্ণ বিতর্কতো লেখা সম্ভব না তবে মূল বিষয়গুলো বলছি: এক্ষেত্রে আমি বলব শিক্ষকের ক্ষমতা এ বেশি একটা ছাত্রকে ভালো ফলাফল এনে দিতে। একজন শিক্ষক একজন ভালো ছাত্রের বীজ অঙ্কুরিত করেন। তিনিই সর্বপ্রথম তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা জ্ঞানকে উন্মোচিত করেন। যতই বলা হোক পরিবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পায়,মূল প্রাণশক্তি কিন্তু শিক্ষক এ উন্মোচন করেন। একটা পরিবার গাইডলাইন দিয়ে একটা ছাত্রের ভালো ফলাফল এনে দিতে পারবে না,কিন্তু একজন শিক্ষক তা অনায়াসে পারে। ভাল ফলাফল এর পূর্বশর্ত ভালো পড়ালেখা এক্ষেত্রে পরিবার নয় শিক্ষক এ তাকে পড়ালেখার প্রতি অত্যাধিক আগ্রহদিপ্ত করতে পারেন। সদাচরণ তাকে শিক্ষা দেয় পরিবার ঠিকাছে কিন্তু তা গুছিয়ে দেয় শিক্ষক, আপনি কাকে সেরা বলবেন কোটি টাকার মালিক সুখহীন মানুষকে নাকি কুঁড়েঘর এ থাকা সুখী মানুষকে।বিতর্ক এর খাতিরে আজ মেনেই নিন পরিবার নপ্য শিক্ষক এ মূল কারিগর একটা ছাত্রের ভালো ফলাফল গড়ে দেওয়ার জন্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভালো ফলাফল কোরতে হলে দুইজনেরই ভালো ভূমিকা রাখতে হবে...তবে পরিবার এর বেশি ভূমিকা রাখতে হবে..কারণ পরিবার সচেতন না হলে ছেলে মেয়েরা ভালো পড়াশোনা কোরবে না...

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমি এখানে পরিবারের ভুমিকা তুলে ধরছিঃ

একটি শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন সে অনন্ত সম্ভাবনা নিয়ে আসে। কিন্তু সে তার সে সম্ভাবনার সঠিক ব্যবহার করতে পারবে কিনা তা অনেকটুকু নির্ভর করবে তার পরিবারের পরিবেশের ওপর। পরিবারের ইতিবাচক পরিবেশ যদি সে পায় তাহলে সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। আর যদি না পায় তাহলে তার মেধার বিকাশ সেভাবে হয় না বা মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়।

পরিবার হচ্ছে শিশুর প্রথম পাঠশালা। তবে শুধু শিশুকালেই নয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার সঠিক বিকাশের জন্যে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আজকের কার্যক্রমে আলোচ্যবিষয় হচ্ছে- মেধার বিকাশে পরিবারের ভূমিকা

মেধা হলো একজন মানুষের মধ্যে সুপ্ত এবং প্রকাশিত প্রতিভা, যোগ্যতা, ক্ষমতা যা সে ব্যবহার করে নিজের এবং অপরের কল্যাণ করতে পারে।

যদি শৈশব থেকেই শিশুকে নেতিবাচক কথা বলা হয় (যেমন: তোমার দ্বারা হবে না, তুমি পারবে না) যদি তাকে সব সময় অন্যদের সাথে তুলনা করা হয়, বা তার সাথে নেতিবাচক আচরণ করা হয় (যেমন: অতিরিক্ত শাসন বা আদর) তাহলে তার মেধার বিকাশ ঠিকমতো হবে না। কারণ যখন তাকে সব সময় নেতিবাচক কথা বলা হচ্ছে, অন্যদের সাথে তুলনা করা হচ্ছে তখন তার নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ফলে সে যে পারে, তার যে ক্ষমতা আছে সেই আত্মবিশ্বাস সে হারিয়ে ফেলে। একটা সময় এসে তার মধ্যে হতাশা হীনম্মন্যতা নেতিবাচকতা না-শুকরিয়া সৃষ্টি হয়, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। যার জন্যে সে মানসিক সমস্যায়ও আক্রান্ত হতে পারে। অনেকে আবার এ হীনম্মন্যতা, হতাশা থেকে মুক্তির জন্যে মাদকে আসক্ত হয়।

শিশুকে যদি তার নিজের কাজ করতে না শেখানো হয় তাহলে, সে তার মেধার সঠিক বিকাশ করতে পারে না। উদাহরণ: একটি দশ বছরের মেয়ের হাত থেকে চিরুণী পড়ে গেছে। মা তাকে তা তুলে দিচ্ছেন। যখন ওনাকে বলা হলো, ও তুলে নিক। তিনি বলেন, না ও পারবে না)। এর ফলে কাজ করার যে মেধা তার মধ্যে আছে তা ঠিকমতো বিকশিত হতে পারে না। তার মধ্যে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যায়। আবার পরবর্তীতে যদি কাজ করার সুযোগ সৃষ্টিও হয় সে করতে চায় না বা করার চেষ্টা তার মধ্যে থাকে না।

সাধারণভাবে আমাদের মা-বাবাদের ধারণা হলো সন্তান পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করতে পারলেই সে মেধাবী হবে। তাই সন্তান যাতে পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করে সেজন্য তাকে চাপ দেয়া হয়। এতে করে সন্তান হয় পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অথবা ভালো ফলাফল করার জন্য মানসিক চাপ অনুভব করে। যার কোনটাই আসলে তার মেধার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারে না।

মা-বাবা যদি পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করার জন্যে চাপ না দিয়ে সন্তানকে উৎসাহিত করতেন, সন্তানের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতেন তাহলে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করতে পারতো এবং মেধার বিকাশ ঘটাতে পারতো।

অধিকাংশক্ষেত্রেই সন্তানের কিসে আগ্রহ আছে তা অনেক মা-বাবাই চিন্তা করেন না বরং তারা সন্তানের পড়াশুনা সহ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। যা আসলে সন্তানের মেধার বিকাশে বাধাগ্রস্থ করে।

এক বাবার খুব ইচ্ছা তার ছেলে ডাক্তার হবে। কারণ তিনি নিজে তা পারেন নি। অথচ ছেলের আগ্রহ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে। কিন্তু বাবার ইচ্ছার বলি হতে হলো তাকে। ফলে সে মেডিকেলে ভর্তি হলো ঠিকই কিন্তু পড়াশুনায় আগ্রহ পায় না, ভালো ফলাফল করতে পারে না। অবশেষে সে হতাশ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে গেলো। একটু লক্ষ্য করলেই আমাদের চারপাশে এরকম হাজারো ঘটনা দেখা যাবে।

যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্কের অভাব থাকে বিশেষ করে মা-বাবার মধ্যে যদি সব সময় ঝগড়া, মনোমালিন্য লেগে থাকে, পরিবারে শান্তি না থাকে এটাও শিশুর মেধার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। শিশুর মনে রাগ-ক্ষোভ, অস্থিরতা, টেনশন, বিষন্নতা, হতাশা সৃষ্টি করে।

আমরা মহিয়সী নারী হেলেন কেলারের কথা জানি। শিশুকালে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন। কিন্তু তার মা-বাবার আন্তরিক চেষ্টাতে তিনি সন্ধান পেলেন অন্ধদের লেখাপড়া শেখানো হয় এমন এক স্কুলের। আজ হয়তো এমন স্কুলের সংখ্যা একেবারে কম নয়। কিন্তু তার সময়কালে তা এতো সহজ বিষয় ছিলো না। মা-বাবার এই সমর্থনের ফলেই হেলেন কেলার পড়ালেখার জগতে প্রবেশ করতে পারেন। নিজের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারেন। তার মা-বাবার আগ্রহের কারণেই তিনি শিক্ষক হিসেবে পান এ্যানি সুলিভানকে। যিনি হেলেনের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিলেন। পরবর্তী জীবনে হেলেন অন্ধদের কল্যাণে সারা বিশ্বে অনেক সেবামূলক কাজ করেন। তিনি একজন সফল বক্তা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

আমাদের দেশে অনেক মেয়েই তার মেধার বিকাশ ঘটানোর জন্যে পরিবারে অনুকূল পরিবেশ পায় না। এখনো অনেক মেধাবী মেয়ে আছে যাদের পড়াশোনা শেষ করার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। সংসার আর পড়াশোনা দুটো চালাতে এতটা হিমশিম খায় যে তাদের অধিকাংশেরই আর পড়াশোনা শেষ হয় না। আর যারা পড়াশোনা চালিয়ে যায় তাদের নিজের চেষ্টার ফলে হয়তো শেষ করতে পারেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা কম। অথচ পরিবারের সদস্যদের একটু সহযোগিতা, উৎসাহ-অনুপ্রেরণা তাদের মেধার সঠিক বিকাশে অবদান রাখতে পারে।

পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা পেলে মেধার বিকাশ হতে পারে তার উদাহরণ হিসেবে আমরা বেগম রোকেয়ার কথা বলতে পারি। তার সময়ে মেয়েদের পড়াশোনার কোন সুযোগ ছিলো না অথচ তিনি তার ভাইয়ের সহযোগিতায় ইংরেজি পড়তে শেখেন। পরবর্তীতে স্বামীর অনুপ্রেরণায় ও সহযোগিতায় তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। তিনি নিজের পরিচয় সৃষ্টি করেন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেন। নারী শিক্ষায় অবদান রাখেন।

“তাই বলা যায়, ভালো ফলাফল করার ক্ষেত্রে শিক্ষকের চাইতে পরিবার অনেক বেশি অবদান রাখে।”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

কোনটার ভূমিকা কোনটার চেয়ে কম নয়।শিক্ষক তাকে পড়া শিখিয়ে দিবে পড়ার রুটিন দেখিয়ে দিবে।বিভিন্ন সহজ টেকনিক শিখিয়ে দিবে ভালো ফলাফলের জন্য । কিন্তু তাকে পড়াশুনা করতে হবে বাসায়।তার পরিবারের ও দেখাশুনা করতে হবে সে কি পড়তেছে না ফাঁকি দিতেছে।তার পরিবার যদি তাকে ঠিকমত না দেখে তাহলে সে হয়ত পড়াশুনায় ফাঁকি দিবে।যার ফলে শিক্ষকের পড়াশুনার ধরন সে ঠিকমত বুঝতে পারবেনা ।কারন সেতো বাসায় পড়েনি ।তাহলে আমার দৃষ্টিতে পরিবারের ভূমিকা একটু বেশি।শিক্ষকের পড়ার ধরন বুঝার পর তাকে বাসায় চর্চা করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ