Call

ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন বিদগ্ধ আলেমদের বক্তব্য হলো, সব স্বপ্নই মানুষের ধারণাপ্রসূত নয়। বরং অনেক স্বপ্ন রয়েছে, যা অর্থবোধক। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন স্বপ্ন তিন প্রকার। ১. রুইয়ায়ে সালেহাহ তথা ভালো স্বপ্ন। আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে কোনো সুসংবাদ হিসেবে যা বিবেচ্য। ২. রুইয়ায়ে শায়তানি তথা শয়তান কর্তৃক প্ররোচনামূলক প্রদর্শিত স্বপ্ন। ৩. রুইয়ায়ে নাফসানি তথা মানুষের চিন্তা-চেতনার কল্পচিত্র। এরপর রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কেউ অপছন্দনীয় তথা ভয় বা খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং দর্শিত স্বপ্নের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ কাউকে কিছু না বলে। [আবু দাউদ] হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এও বর্ণিত আছে যে, রাসুল (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের জিজ্ঞেস করতেন তোমাদের মধ্যে কেউ কোনো স্বপ্ন দেখেছ কি? অতঃপর রাসুল (সা.) নিজে এগুলোর ব্যাখ্যা করতেন। চিরসত্যের ধারক মহানবি (সা.) এর বাণীর আলোকে আমরা এ বিশ্বাস স্থাপন করি যে, কিছু ভালো স্বপ্ন আল্লাহ মহান তার প্রিয় ও নেক বান্দাদের দেখান। কিছু স্বপ্ন শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে। কিছু স্বপ্ন মানুষের চিন্তা ও ধারণার ফল। একটি কথা উল্লেখ্য যে, সব নবি-রাসুলের স্বপ্ন অহি। এ জন্যই স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হয়ে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর পুত্র কোরবানিতে প্রস্তুতি জরুরিও ছিল আবার সঠিকও ছিল। অন্য কোনো ব্যক্তি এ জাতীয় কোনো স্বপ্ন দেখলে তার জন্য এভাবে কোরবানি করতে উদ্যত হওয়া সম্পূর্ণ হারাম। তবে স্বপ্নের ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ কথা হলো স্বপ্ন কাউকে না বলা। স্বপ্ন ব্যাখ্যা খুবই কঠিন এবং জ্ঞানতাত্ত্বিক একটি বিষয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ