দীর্ঘদিন যেহেতু বিদেশে ছিলেন তাই বলি, যেকোন কিছু করার সময় খুব সাবধান কারন আমাদের দেশের মানুষের চরিত্র বোঝা বড় কঠিন। কিছু মানুষ আপনার সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বনাশ করার পরিকল্পনা করবে। সবথেকে ভাল হয় বাড়ির কাছা-কাছি ভাল একটা মুদি দোকান দেন মাসিক 20-30 হাজার টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন কিন্তু বাকি দেয়ার বিষয়ে খুবই সাবধান থাকবেন।
ভালো মানের একটা প্রজেক্ট হাতে নিতে পারেন, আপনার মূলধন যেহেতু অনেক বেশি, সেক্ষেত্রে আপনি সমন্বিত খামার ব্যবস্থা হাতে নিতে পারেন। যেখানে কতকগুলো পুকুরে মাছ চাষ করবেন,আর হাস-মুরগির খামার থাকবে পাশে। আর পুকুরের পাড়ে থাকবে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলের গাছ। এজন্য অবশ্য আপনাকে টোটাল কাজটা পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে এক বছর প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। আর উপরের উত্তরটা ও প্রযোজ্য হতে পারে,এখন আপনার ইচ্ছা আপনি কোন কাজটি করবেন।
এখন যেকোন কাজই হোক বা যেকোন ব্যবসা সব জায়গাতেই শুধু competition চলছে,কে কার আগে বড়ো পর্যায়ে যেতে পারে| আপনাকেও সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে| শুধু টাকা হাতে আছে তাই বলে চট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না| আপনাকে বুঝে পা ফেলতে হবে,আপনি ভাবুন যে আপনার এলাকায় কিসের দোকান দিলে চলবে,কোন জিনিসটার চাহিদা আপনার এলাকায় বেশি,কোন ব্যবসাটা আপনার এলাকায় নেই অথবা থাকলেও কম,আপনাকে এগুলি খেয়াল করে কাজ করতে হবে| যে ব্যবসাটি আপনার এলাকায় বা আশেপাশে নেই সেই ব্যবসা করুন,যেটা চলবে,কিন্তু তাবলে এমন ব্যবসা করবেননা যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে| আপনি যেই ব্যবসা করুন না কেন দেখবেন যাতে বাকি না পরে,বা কম পরে| যেকোনো ব্যবসাই করুননা কেন বাকি যাতে কম পরে এবং হিসেব ঠিকঠাক রাখবেন|
আপনি একটি ছাগলের ফার্ম দিতে পারেন, এটি খুবই লাভজনক ব্যাবস্যা, আর ব্লাক বেঙ্গল ছাগল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশি বাচ্চা দেয় এটি লাভজনক, আপনি যুব উন্নয়ন থেকে একটি টেনিং নিয়ে শুরু করে দিন, এ কাজ করে বাংলাদেশের অনেক মানুষ সাফল্য হয়েছে। আপনি ৪-৫ লক্ষ দিয়ে শুরু করলে ২ - ৩ বছরে ৩০ লক্ষ টাকার পুঁজিতে দাড়াবে। একথায় আপনার বিশ্বাস না হলে যুব উন্নয়নে গিয়ে কথা বলতে পারেন।