শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

জমি ব্যবহারকারী কর্তৃক জমির মালিককে চুক্তি অনুসারে প্রদত্ত মোট অর্থকে মোট খাজনা বা চুক্তিবদ্ধ খাজনা বলে। মোট খাজনার মধ্যে জমির বিশুদ্ধ খাজনা ছাড়াও জমির মালিকের মূলধন নিয়োগ বাবদ সুদ, প্রাপ্তিযোগ্য মজুরি, মালিক কর্তৃক সরকারকে প্রদত্ত কর, ঝুঁকি গ্রহণের জন্য মুনাফা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। অতএব, মোট খাজনা = জমির বিশুদ্ধ খাজনা + মূলধন নিয়োগ বাবদ সুদ + প্রাপ্তিযোগ্য মজুরি + মালিক কর্তৃক সরকারকে প্রদত্ত কর + ঝুঁকি গ্রহণের মুনাফা। কেবল জমিই উদ্বৃত্ত আয় সৃষ্টি করে না, মানুষের তৈরি উপকরণগুলোও উদ্বৃত্ত আয় সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং খাজনা শুধু জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, বরং যেকোনো উপাদানের আয়ের মধ্যে খাজনার অস্তিত্ব থাকে। এ ধারণা থেকেই নিম খাজনা আলোচিত হয়। অধ্যাপক পি এ স্যামুয়েলসনের মতে, ‘যেকোনো উপকরণের দাম যদি সাময়িকভাবে স্থির থাকে, তাহলে তার আয়কে নিম খাজনা বলা চলে।’ অধ্যাপক ডি স্যালভেটর মনে করেন, নিম খাজনা হলো মোট আয় থেকে মোট পরিবর্তনীয় ব্যয়ের বিয়োগফল। অতএব, মনুষ্য নির্মিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দ্বারা স্বল্পকালে যে অতিরিক্ত আয় পাওয়া যায়, তাকে অর্থনীতিতে নিম খাজনা বলা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ