প্রথমে জেনে নেই বিয়ের নিয়মগুলিঃ ইসলামে বিয়ে হালাল হওয়ার শর্ত হচ্ছে ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক সাবালগ হতে হবে এবং কোন প্রকার চাপ বা প্ররোচনা ছাড়াই দুজনেরই বিয়েতে পূর্ণ সম্মতি থাকতে হবে, দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক স্বাক্ষী থাকতে হবে অার স্বঠিক দেনমোহর ধার্য করে তা অাদায় নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বিয়ে হালাল হবে না। অার হাদিস মতে বিয়েতে বর-কনের অভিবাবকদের সম্মতি ও উপস্থিতি থাকা উত্তম। তাই অাপনি যদি উত্তমরুপে বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই বাবা-মাকে রাজি করিয়ে বিয়ে করুন। চেষ্টা করলে কি না হয়। অাপনার সাফল্য কামনা করছি। ধন্যবাদ।
আপনি যেভাবেই হোক অভিভাককে রাজি করিয়ে বিয়ে করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস এ ব্যাপারটিই নির্দেশ করে। # “যে নারী তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই নিজে নিজে বিবাহ করে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল।” (আহমাদ,আবু দাউদ,তিরমিযী,ইবনে মাজাহ,দারেমী,মিশকাত ৩১৩১ নং) #“ওয়ালী (অভিভাবক) এবং দুইজন উত্তম চরিত্রের সাক্ষী ব্যতীত কোনো বিবাহ (বৈধ) হবে না”। [আল বায়হাক্বী থেকে বর্ণিত ইমরান এবং ‘আয়িশা এর হাদীস; সহীহ আল-জামি’ ৭৫৫৭ এ আল-আলবানী হাদিসটিকে সহীহ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।] আরও বর্ণিত হয়েছে, এক স্ত্রীলোক অপর স্ত্রীলোক বিবাহ দিতে পারে না এবং কোনও স্ত্রীলোক নিজে নিজেই বিবাহ আবদ্ধ হতে পারে না। কারণ, কেবল ব্যভিচারিণীই নিজেকে বিবাহ আবদ্ধ করতে পারে। আর অভিভাবক হলেন পিতা , পিতা না থাকলে ভাই এভাবে যাবে এবং যদি কাছের কোন আত্মীয় জীবিত না থাকেন বা কাফের/ মুরতাদ/ফাসেক হবার কারণে অভিভাবকত্ব হারান তবে তার অভিভাবকত্ব রাষ্ট্রের জিম্মায় চলে যাবে।