কিছুদিন আগে একটি ছেলে আমার এক মেয়ে বান্ধবীর what's app হ্যাক করে তার মোবাইলের gallery তে প্রবেশ করে আর তার পার্সোনাল কিছু ছবি নিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এতে আমার বান্ধবীকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আমি আরও শুনেছি যে free w-fi চালাতে গিয়ে অনেকের পার্সোনাল ফাইল হ্যাক করে নেয়া হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হল what's app, viber বা personal file ইন্টারনেটের মাধ্যমে হ্যাক হউয়া থেকে বাঁচানোর উপায় কি বা এমন কোন app কি আছে যা থাকলে কেও আমার what's app, viber বা personal file হ্যাক করতে পারবে না। দয়া করে কেও সঠিক ভাবে জানাবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

'প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর'- হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য এটিই ভালো পন্থা। অর্থাৎ সাইট যাতে হ্যাক না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়াই উত্তম। তবে অনেক সাবধানতার পরও সাইট হ্যাক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে করণীয়- আগে সামাজিক যোগাযোগের সাইট, ই-মেইল কিংবা ওয়েবসাইট, যে অ্যাকাউন্টই হোক না কেন, হ্যাকিং প্রতিরোধে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার জরুরি। এ বিষয়ে ডোমেইন ও হোস্টিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবিএইচ ওয়ার্ল্ডের আবু হুরাইরা ফয়সাল বলেন, 'শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হতে পারে কমপক্ষে ১৫ অক্ষরের। এসব অক্ষর হওয়া উচিত ছোট (সাধারণ) ও বড় (যেগুলো কি-বোর্ডে ক্যাপস লক অথবা শিফট-কি চেপে লিখতে হয়) বর্ণের সঙ্গে ন্যূনতম একটি সাংকেতিক চিহ্ন থাকা দরকার। পাসওয়ার্ড হিসেবে কোনোভাবেই নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল বা টেলিফোন নম্বর বা জন্ম, বিবাহ ইত্যাদি বার্ষিকীর তারিখ ব্যবহার করা সমীচীন নয়। হ্যাকাররা এগুলো সহজেই অনুমান করতে পারে। এক পাসওয়ার্ড একাধিক সাইটে ব্যবহার করাও ঠিক নয়।' ইউনিক ইউজার নেম : পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে পারলে সাইট হ্যাক করা সহজ হয়ে যায়। যেমন ওয়ার্ডপ্রেসে সাধারণত 'অ্যাডমিন' হিসেবে ইউজার নেম ব্যবহার করা হয়। এটি সহজেই পরিবর্তনযোগ্য। হ্যাকিং প্রতিরোধে তাই ইউনিক ইউজার নেম ব্যবহার করা উচিত। মেইলে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন ব্যবহার : অনেকের ই-মেইলে তার ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। তাই ই-মেইল হ্যাক হলে ভোগান্তির শেষ নেই। জি-মেইল, ইয়াহুসহ বিভিন্ন ই-মেইল সেবায় বর্তমানে 'টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন' চালু রয়েছে। এতে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড জানা থাকলেও কেউ ই-মেইলে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রয়োজন হবে মূল ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বর। এ পদ্ধতিতে মোবাইলে নিরাপত্তা কোড পাঠানো হয়। তাই ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড জানা থাকলেও এই কোড ছাড়া হ্যাকার মেইল হ্যাক করতে পারবে না। ফেইসবুকে সিকিওর ব্রাউজিং চালু : 'সিকিওর ব্রাউজিং' সুবিধা রয়েছে ফেইসবুকে। এ পদ্ধতিতে এনক্রিপটেড কানেকশনের মাধ্যমে ফেইসবুক ব্রাউজ হবে। সিকিওর ব্রাউজিং চালু করতে প্রথমে ফেইসবুকে লগ-ইন করে ডান পাশের Account Settings থেকে Security Setting নির্বাচন করতে হবে। সেখান থেকে Secure Browsing পরিবর্তন করতে হবে। এটি চালু হলে যেকোনো ব্রাউজারেই ফেইসবুক ব্যবহার করা হোক না কেন, এটি http-এর পরিবর্তে https পদ্ধতিতে ব্রাউজ হবে। ফেইসবুকে লগ-ইন নোটিফিকেশন চালু : ফেইসবুকে ই-মেইল ও মোবাইলের মাধ্যমে লগ-ইন নোটিফিকেশন পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি চালু থাকলে যখনই অপরিচিত একটি ডিভাইস থেকে ওই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হবে, তখন ব্যবহারকারীর নিবন্ধন করা মোবাইল ও ই-মেইলে 'নোটিফিকেশন' যাবে। তখন মূল ব্যবহারকারী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ জন্য অ্যাকাউন্ট সেটিং থেকে মোবাইল নোটিফিকেশন ও ই-মেইল নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য লগ-ইন নোটিফিকেশন চালু করে নিতে হবে। ফাইলের ব্যাকআপ রাখা : হ্যাকারদের মূল লক্ষ্য থাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি বা সেগুলো মুছে ফেলা। একবার সাইটের প্রবেশাধিকার পেয়ে গেলে তারা নষ্ট করে দিতে পারে 'আর্কাইভ'। তাই সাইট বা ব্লগের ব্যাকআপ রাখা উচিত। এ জন্য ভালো মানের কোনো সফটওয়্যার কিনে অথবা 'ফাইলজিলা'র মতো বিনা মূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সাইটের ব্যাকআপ রাখা ভালো। এতে সাইট হ্যাক হলে ব্যাকআপ থেকে সাইটকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসা যায়। ইউআরএল ভেরিফাই : অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অন্যতম পদ্ধতি 'ফিশিং স্ক্যাম'। এ পদ্ধতিতে হ্যাকাররা মূল সাইটের অনুরূপ ও সামান্য বানানের পার্থক্য দিয়ে ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তাই কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ বা নিবন্ধনের আগে সেটি অফিশিয়াল বা আসল সাইট কি না তা দেখে নেওয়া উচিত। ভুয়া হলে কৌতূহল বসেও সাইটটি আর ভিজিট করা উচিত নয়। পরে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন : হ্যাকিংয়ের শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলা উচিত। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আগের পাসওয়ার্ড থেকে সমপূর্ণ ব্যতিক্রমী ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপস ও প্লাগ-ইন নিষ্ক্রিয় করা : হ্যাকিংয়ের আগে কোনো অ্যাপস, প্লাগ-ইন অথবা এক্সটেনশন ব্যবহার করলে সেটি নিষ্ক্রিয় বা আন-ইনস্টল করা উচিত। ব্লগ বা সাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব সাইটটি অফলাইনে নেওয়া উচিত। এতে সাইটটির ভিজিটররা হ্যাকিং হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। বেশির ভাগ ওয়েব হোস্টিং কম্পানিকে জানালে তারা নিজের থেকে সাইটটি আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। প্রায় প্রতিটি ওয়েব হোস্টিং সেবাদাতার কাছে গ্রাহকের সাইটের ব্যাকআপ থাকে। তাই হ্যাকিংয়ের বিষয়টি হোস্টিং কম্পানিকে দ্রুত জানাতে হবে। গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ : আপনার সাইটটি যদি ই-কমার্স বা বিজনেস সাইট হয়, তাহলে ক্ষতি কমাতে প্রথম ও প্রধান কাজ হলো দ্রুত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। তাদের আসল ঘটনা খোলাখুলিভাবে জানানো উচিত। জানাতে হবে এ পরিস্থিতিতে তাদের করণীয় সম্পর্কেও। ফলে তারা আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ছাড়া অন্য সব তথ্যের বিষয়ে সচেতন হবে। একই সঙ্গে আপনি জানিয়ে দেবেন সাইটটির সমস্যা সমাধানে আপনারা কতটা আন্তরিক। পরবর্তী হ্যাকিং হওয়া প্রতিরোধ করা : হ্যাকিংয়ের শিকার হলে ভোগান্তির শেষ নেই। তাই প্রথম হ্যাকিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করুন। সমাধানের পথটি খুঁজুন ও দুর্বল বিষয়টিতে নিরাপত্তার পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিন। সুত্রঃ www.kalerkantho.com/print-edition/telecom/2014/02/19/53671

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নিজের পাসওয়ার্ডটি সুরক্ষণ রাখুন। আপনার পাসওয়ার্ডটি কারোর সাথে share করবেন না। এতে আপনার হ্যাকার থেকে মুক্ত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ