আমি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। ওযু ছাড়াও কোরআন ধরতে পারবেন কিন্তু যেন আপনার সাথে ছোয়া না লাগে মানে কাপর/টুপি দিয়ে ধরতে হবে। এভাবে কোরআন পড়া যায়। ব্যাপারটা এরকম যে অযু ছাড়া কোরআন তেলাওয়াত করা যায়। এখন মোবাইলের মধ্যে যেহেতু কোরআন শরিফ রাখছেন উচিৎ কিন্ত অযু করেই পড়া। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। সব চেয়ে ভাল হয় আপনি কোন কওমি মাদ্রাসার হুযুরের কাছে যেয়ে জিজ্ঞাসা করেন। ধন্যবাদ
কোরআন একটি পবিত্র গ্রন্থ তাই এটি স্পর্শ করার পূর্বে অবশ্যই ওযু করার প্রয়োজন কিন্তু আপনি ল্যাপটপ, মোবাইল বা ট্যাব কে কোরআন পড়ার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করলে এখানে ওযু করার প্রসঙ্গ আসার কথা না। যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বলা যেতে পারে এই ক্ষেত্রে ওযুর প্রয়োজন নেই তবুও কোরআন পড়ার পূর্বে ওযু করে পবিত্র হয়ে নেওয়াই ভালো।
কুরআন সুন্নাহ ও ফিক্বহে ইসলামীর আলোকে একটি মূলনীতি হলো, কুরআনের আয়াত যে কোন বস্তুতেই পরিদৃষ্ট হবে । এর সম্মান রক্ষা করা আবশ্যক। বর্তনান এই আধুনিক যুগে মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব ও কম্পিউটার স্ক্রীনে সরাসরি হাতের ছোয়া লাগিয়ে কুরআন পড়লে অযু লাগবে। অযু ব্যতিত স্ক্রীনে ট্যাচ করা জায়েয নয় কেননা, কোরআন সর্বোচ্চ পবিত্র ও মর্যাদাসম্পন্ন। বিনা অযুতে কুরআন স্পর্শ করা যাবে না মর্মে কুরআন ও হাদিসে নির্দেশ এসেছে। তাই কুরআনের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে স্পর্শ করার জন্য ইসলামিক আইনবিদগণ ওযুর শর্তারোপ করেছেন। সে হিসাবে মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদির স্ক্রীনে কুরআন মাজীদের আয়াত বা কোনো পৃষ্ঠা খুললে তার যথাযথ মর্যাদা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত অংশ বিনা অযুতে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রেফারেন্স: ( আল কুরআন, সূরা ওয়াকিয়া, সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ, শরহুল উমদা: ইবনে তাইমিয়্যাহ লিখিত, ফাতাওয়া শামী, ফাতাওয়া আলমগিরী, জাদিদ ফিক্বহি মাসায়েল।) والله اعلم بالصواب