কিছু দিন আগে আমি এমন একজন কে ভালবাসি,সে বলে সে আমাকে ভালবাসে,কিনতু সে সব সময় আমার দেখা করতে চাই,কিনতু আমার দেখা করা ভাল লাগেনা। এখন আমি কি করবো?

ভালোবাসা নিয়ে এরকম অবস্থা হতেই পারে। আপনার সাথে যেহেতু ৬ বছর ধরে সেই মেয়েটার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, হতে পারে এখনো আছে। এ নিয়ে আপনি ধৈর্য্য হারাবেন না। হয়তোবা কোনো চাপে...

আপনি তার মাকে বলুন যে, আমরা দু'জনি একে-অপরে ভালোবাসি। আমরা দু'জন দু'জন একে অপরকে ভালোভাবে চিনি। আর আমি তাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।

আপনাদের দুজনের কারোই বিয়ের বয়স হয়নি, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ছেলেলেদর বিয়ের বয়স ২১ এবং মেয়েদের ১৮। তাই এখন বিয়ে করা আইনত বৈধ্য হবে না।

আপনাদের দুজনার যদি মত থাকে তবে ইসলাম আপনাদের পুনরায় বিয়েকে সমর্থন করবে।কিন্তু একজন না চাইলে অপরজন জোর করতে পারবে না।

আপনি যদি দুনিয়াতে ভাল কাজ করেন তাহলে পরজনমে আল্লাহ্ আপনাকে জান্নাত দান করবেন, আর জান্নাতে আপনি যা চাইবেন তাই আপনাকে দেওয়া হবে আর আপনার পছন্দের মানুষ কে পাবেন, বিয়ে করা...

চলার পথে মানুষের ১টা ফ্রেন্ড খুব দরকার,একাকী জীবন খুব দুরবিষহ হয়ে উঠে,নতুন একটা ফ্রেন্ড বানিয়ে নিন,নামাজ পড়ুন, ভালো কাজ করুন,আশা করি আলোর জগতে ফিরে আসতে পারবেন।

বিশ্বাস জিনিসটা হল সব কিছুর মূল ভিত্তি, এখন মূল কথা হল আপনাকে সে কতটা ভালবাসে সেটা আপনি একমাত্র বলতে পারেন, সেই ভালবাসার প্রমানই আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে পারে,...

এটা একান্ত আপনার উপর defend করছে,কিছুদিন দেখুন।আর সে যদি আগের সব কিছু ভুলে গিয়ে আপনাকে ভালবাসে তাহলে অতিতের কথা ভুলে যান।কারন এগুলা মনে হলে আপনাদের মধ্যে ঝামেলা হতে পারে।

‪#‎অালা‬হযরত শাহ অাহমেদ রেজা খান রাহমাতুল্লাহ অালাইহ বর্ণনা করেন যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মাত্র ৩ পয়সা পরিমান হক/ কর্জ অাত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন তার পরিবর্তে ৭০০ জামাতসহকারে অাদায় করা কবুল নামাজ দিয়ে তার বদলা পরিশোধ করতে হবে!!(ফতোয়ায়ে রজভিয়া খন্ড ২৫ পৃষ্টা ৬৯)এজন্য আপনি যে কাজ করেছেন সেটি খুবই জগন্য।  তাই আপনি ঐ ব্যাক্তিকে এই কথা গুলো বলে তার কাছে ক্ষমা চান।  তাহলে নিশ্চয় উনি ক্ষমা করবেন। 

আপনাকে সে আশা দিয়েছে, ভুলে যেতে বলে নি, বা আপনাকে এড়িয়ে ও যায়নি,হয়তো আপনার ভালোর জন্যই বলছে, পরীক্ষা শেষ করুন,তারপর তার মতামত নুন,আশা করি হ্যাঁ বোধক উত্তর এ দিবে।