এক. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে ও ইসলামী শরিয়তের অনুসরণ করতে হবে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন : ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻌْﺶُ ﻋَﻦْ ﺫِﻛْﺮِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﻧُﻘَﻴِّﺾْ ﻟَﻪُ ﺷَﻴْﻄَﺎﻧًﺎ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻪُ ﻗَﺮِﻳﻦٌ আর যে পরম করুণাময়ের জিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী। (সূরা যুখরুফ : ৩৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেহ যখন ঘুমিয়ে যায় শয়তান তখন তার মাথার কাছে বসে তিনটি গিরা লাগায়। প্রতিটি গিরা দেয়ার সময় একটি কথা বলে: তোমার সামনে আছে দীর্ঘ রাত, তুমি ঘুমাও। যখন সে নিদ্রা থেকে উঠে আল্লাহর জিকির করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন সে অজু করে তখন আরেকটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন নামাজ পড়ে তখন শেষ গিরাটি খুলে যায়। ফলে সে সারাদিন কর্মতৎপর ও সুন্দর মন নিয়ে দিন কাটায়। আর যদি এমন না করে, তাহলে সারাদিন তার কাটে খারাপ মন ও অলসভাব নিয়ে।” (বর্ণনায় : বুখারী ও এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল: (১) ঠিকমত অজু করলে, নামাজ আদায় করলে শয়তানের চড়াও থেকে মুক্ত থাকা যায়। (২) খারাপ মন নিয়ে থাকা ও অলসতা শয়তানের কুমন্ত্রণার ফল। (৩) রীতিমত নামাজ আদায় করলে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে। কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। অলসতা দূর হয়ে যায়। (৪) ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে অজু গোসল করার আগেই আল্লাহর জিকির করা উচিত। ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার নির্দিষ্ট দুআ আছে। এটি পাঠ করা সুন্নত। এতে শয়তানের কুপ্রভাব দূর হয়ে যায়। ৫. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুআ পাঠ করা ৬. পেশাব পায়খানাতে যাওয়ার সময় দুআ পাঠ করা: ৭. প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এ দুআটি তিনবার পাঠ করা ﺃﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ (আউজু বিকালি মাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা) অর্থ: আমি আল্লাহ তাআলার পরিপূর্ণ বাক্যাবলীর মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির সকল অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় নিচ্ছি। (বর্ণনায় : মুসলিম, তিরমিজী, আহমাদ) ৮. প্রতিদিন নিদ্রা গমনকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা
দুষ্ট জীনেরা আমাদের শত্রু,যাহাকে জ্বীন বিরক্ত করে সেই জানে জ্বীনের অত্যচার কত কঠিন, জ্বীন তড়ানোর উপায় বলছি, সকাল বেলা সাতটি বড়ই পাতা নিয়ে বেটে রস করবে তার পর ওজু করে দরুদে ইবরহীম এক বার সুরা ফাতিহা ২১বার, আয়াতুল ক্বুরসী ২১বার,সুরা ইখলাস ২১বার,সুরা ফালাক্ব ২১বার,সুরা নাস ২১বার আবার দরুদে ইবরহীম ১বার পড়ে বড়ই পাতার রসে ফু দিবে তার পর যাহার উপর জীন আছর করে তাহাকে অর্ধেক রস খাওয়াইবে বাকি অর্ধেক রস এক বালতি পানিতে মিসিয়ে সেই পানি দিয়ে রোগীকে গোসল করাইবে, এই ভাবে তিন দিন অথবা পাঁচ দিন অথবা সাত দিন এই ভাবে আমল করিলে ইনশাআল্লাহ জ্বীনের আছর দুর হইবে। সূএঃইন্টারনেট।
যে কোন স্থানে মানুষ জ্বিন ভুত বা জীব জন্তু ইত্যাদি যে কোন জিনিসের ভয় হলে, যথাক্রমে আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং নিম্নক্ত আয়াতটি একবার করে এক একবার করে পাঠ করে নিজের চতুরদিকে কাঠি বা অঙ্গুলী দ্বারা একটি বৃত্ত টানিয়া দিবে।আয়াতটি এইঃকুল লাই ইউসীবানা ইল্লা মা কাতাবাল্লাহু লানা,হুয়া মাওলানা ওয়া আলাল্লাহি ফাল্ইয়াতাওয়াক্কালিল মু'মিনূন।এআমলের বরকতে আমলকারী শরীর বন্ধ হয়ে এবং কেউ বৃত্তের ভিতরে এসে কোনরূপ অনিষ্ট করতে পারেনা।তছাড়া আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর ওপর শয়তান কোনরূপ অনিষ্ট করবেনা বলে শয়তান ওয়াদাবদ্ধ রয়েছে।তথ্য সূত্রঃনূরানী নামাজ শিক্ষা।