শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি কি নিশ্চিত আপনার ঘাম হয় না, কিছু কিছু মানুষের ঘাম খুব কম হয় এবং দ্রুত বাতাসে শুকিয়ে যায় যার কারনে বুঝতে পারেনে আর অনেক সময় এক বিশেষ জন্মগত ত্রুটির জন্য এক্রিন এবং অ্যাপোক্রিন গ্ল্যান্ড অর্থাৎ ঘর্মগ্রনি’র যথাযথ বিকাশ হয় না। বলাই বাহুল্য, এদের ঘাম হয় না। ডাক্তারি পরিভাষায় এ রোগের নাম এক্রোডারমাল ডিসপ্লেশিয়া। এই এক্রোডারমাল ডিসপ্লেশিয়া দুরকম- (১) অ্যানহাইড্রোটিকঃ এদের একেবারেই ঘাম হয় না, তাই জন্ম মুহূর্ত থেকে রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গেই এদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় রাখা জরুরি। না হলে শরীরের তাপমাত্রা সাংঘাতিক রকমের বেড়ে বা কমে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে যে কোনো সময়। আসল কথা হলো এতই সাবধানতা মেনে চলা এক প্রকার অসম্ভব বলে এই অ্যানহাইড্রোটিক শিশুদের বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল বিশেষত উষ্ণ আবহাওয়ায়। (২) হাইড্রোটিকঃ এ ধরনের এক্রোডারমাল ডিসপ্লেশিয়ার রোগীদের ঘাম হয় তবে তা অত্যন- অল্প। তাই এদেরও শরীরের তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে যখন-তখন। অবশ্য কিছুটা সাবধানতা মেনে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। চর্মরোগে ঘাম বন্ধ হতে পারে ত্বকের কিছু অসুখ যেমন- সোরিয়াসিস, একজিমা, ড্রাগ র্যাশ জাতীয় Exfoliate dermatitis যদি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তখন ঘাম বেরুনোর পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এর ফলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে সাংঘাতিক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। সে জন্য এ ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা করা উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ