ফজরে ২, যোহর ৪,আসর ৪,মাগরিব ৩, ,এশা ৪,রাকাত ফরজ হওয়ার কোন কারন থাকলে জানাবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

‘সালাত’ -এর আভিধানিক অর্থ দো‘আ, রহমত, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ: ‘শরী‘আত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে ‘সালাত’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমা দ্বারা শুরু হয় ও সালাম দ্বারা শেষ হয়’। পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজে দিনে-রাতে মোট ১৭ রাক‘আত ও জুম‘আর দিনে ১৫ রাকাত ফরয এবং ১২ অথবা ১০ রাকাত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। যেমন(১) ফজর : ২ রাকাত সুন্নাত, অতঃপর ২ রাকাত ফরয (২) যোহর : ৪ অথবা ২ রাকাত সুন্নাত, অতঃপর ৪ রাকাত ফরয। অতঃপর ২ রাকাত সুন্নাত (৩) আছর : ৪ রাকাত ফরয (৪) মাগরিব : ৩ রাকাত ফরয। অতঃপর ২ রাকাত সুন্নাত (৫) এশা : ৪ রাকাত ফরয। অতঃপর ২ রাকাত সুন্নাত। অতঃপর শেষে এক বা তিন রাকাত বিতর। প্রত্যহ ৫ ওয়াক্ত ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের নামাজ রয়েছে। নামাজ অবশ্যই আরবি ভাষায় নির্দিষ্ট কিছু সূরা ও দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আদায় করতে হয়। যে উপাসকের যেমন সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ীই তাকে আরবি পড়তে হয়। সবকিছু অন্তর থেকে পাঠ বা তিলাওয়াত করতে হয়। যে স্থানে নামাজ আদায় করা হয় তাকে মুসাল্লা ( ﻣﺼﻠﻰ ) বলে। ইতিহাস ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সা:) ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং অব্যবহিত পরে সূরা মু’মিন-এর ৫৫ নম্বর আয়াত মারফৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ ফরজ (আবশ্যিক) হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন। তিনি ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে দৈনিক তিন ওয়াক্ত নামাজের আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় জোহর, আসর ও এশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট জোহর, আসর ও এশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়। আমরা অনেকেই ভাবি নামাজের উপকারিতা বলতে পরকালের শান্তির কথা।আসলে শুধু তাই নয় নামাযে রয়েছে বিশাল উপকার আর এই বিঙ্গান সম্মত উপকারের কথা বলা হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে।ইসলামই একমাত্র ধম যার সাথে বিঙ্গানের মিল রয়েছে।কেবল মাত্র পবিত্র কুরআন শরীফের কথা ১০০% এর মধ্যে ৮০% বিঙ্গান প্রমান করতে পেরেছে।আর বাকি ২০%বিঙ্গান বের করতে পারেনি কারন সেটি প্রমান করার মত প্রযুক্তি এখনো পৃথিবীতে আসেনি।নামাজের মধ্যে যে কি পরিমান বিঙ্গান লুকায়িত আছে তা নিম্নে বণনা করা হলঃ ১. নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়।ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়। ২. নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। ৩. নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়।এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে। ৪. নামাজের মাধ্যমের আমাদের মনের অসাধারন পরিবতন আসে। ৫. নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে।ফলে শারীরিক বিকলাঙ্গতা লোপ পায়। ৬. নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি। ৭. নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়। ৮. ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে য়ায। ৯. কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। ১০. নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়। ১১. কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Hardlove

Call

ইতিহাস ইসলামের বিভিন্ন বর্ননা অনুযায়ী মুহাম্মাদ সাঃ ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং অব্যবহিত পরে সূরা মু’মিন-এর ৫৫ নম্বর আয়াত স্রষ্টার পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ (আবশ্যিক) হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন। তিনি ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে দৈনিক তিন ওয়াক্ত নামাজের আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় জোহর, আসর ও এশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট জোহর, আসর ও এশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ হয় এবং ফযর ২ রাকাত মাগরিব ৩ রাকাত এভাবেই ১৭ ফরজ নামাজ হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ