কোরঅান সক‌লের সা‌ধ্যের নাগা‌লে অা‌ছে । সে‌হেতু মানু‌ষের কথা মানার অা‌গে কোরা‌নের ব্যখ্যা জানা ও অনুসরন করা ও শিক্ষাদা‌নে ব্যবহার করা অবশ্যই অ‌ধিক গুরুত্বপূর্ন ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
MHR

Call

রাসুল সাঃ সহ ২৫ জন নবি রাসুলের নাম কুরআনে বর্নিত আছে ! এছাড়া আর কারো নাম বর্নিত হয় নি ! তামাক হারাম এটা কুরআনে কোথাও ঊল্লেখ নেই ! তবে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে নেশাঃ ইসলামে ধুমপানের বিধানঃ ও তার প্রতিকার মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী ধুমপান হালাল না হারাম এ নিয়ে আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর লোক এখনো বিতর্ক করেন। তাদের অবগতির জন্যে নিম্নে কিছু দলীল পেশ করছি। তাতেই প্রমাণ হবে ধুমপান হালাল না হারাম। আজ পৃথিবীর মানুষ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একমত যে ধুমপান স্বাস্থ, পরিবেশ, সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। মানুষের এ ঐকমতই কিন্তু পরক্ষোভাবে ধুমপান যে হারাম তা প্রমাণ করে দিচ্ছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ পাক এরশাদ করেন, ﻗُﻞْ ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕُ “আপনি বলে দিন, পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।” (সূরা মায়েদাঃ ৪) আল্লাহ্ আরো বলেন, ﻭَﻳُﺤِﻞُّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻭَﻳُﺤَﺮِّﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢُ ﺍﻟْﺨَﺒَﺎﺋِﺚَ “তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেন।” (সূরা আ’রাফঃ ১৫৭) তামাক, জর্দা, সিগারেট যে অপবিত্র বস্তু। তার স্বাদ-গন্ধ প্রভৃতি অপসন্দনীয় তা করো কাছে গোপন নয়। আল্লাহ্ আরো বলেন, ﻭَﻟَﺎ ﺗُﻠْﻘُﻮﺍ ﺑِﺄَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺘَّﻬْﻠُﻜَﺔِ “তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।” (সূরা বাকারাঃ ১৯৫) তিনি আরো বলেন, ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻜُﻢْ “তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না।” (সূরা নিসাঃ ২৯) ধুমপানের মাধ্যমে মানুষের কিরূপ ক্ষতি হয় এবং কিভাবে তিলে তিলে নিজেকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয় তার কিছু বিবরণ নীচে পেশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ্॥ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে বস্তু অধিক গ্রহণ করলে নেশা সৃষ্টি হয়, তার অল্পটাও হারাম।” (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী ছহীহ) বলার অপেক্ষা রাখে না ধুমপান এক প্রকারের নেশা। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, “যে ব্যক্তি কাঁচা পিঁয়াজ অথবা রসূন খাবে, সে যেন আমাদের থেকে আলাদা থাকে, আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয় এবং বাড়ীতে বসে থাকে।” (মুসলিম) ধুমপানের দূর্গন্ধ কি কাঁচা পিঁয়াজ বা রসূনের চাইতে অধিক প্রকট নয়? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, “নিজের ক্ষতি করা যাবে না এবং অন্য কারো ক্ষতিও করা যাবে না।” (ছহীহ ইবনে মাজাহ্) ধুমপান মানেই নিজের ক্ষতি (আর্থিক, শারীরিক, ও ধর্মীয় ক্ষতি) এবং মানুষকে কষ্ট দেয়া ও তাদের ক্ষতি করা। যা নিজের ক্ষতি করে এবং মানুষের ক্ষতি করে তা কি হালাল হতে পারে?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ