টুইন টাওয়ার হামলা এবং কিছু অজানা রহস্যঃ ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী বিমান হামলায় নিহত হন প্রায় ৩৫০০ মানুষ। এই রহস্যময় বিমান হামলা নিয়ে এখনও মানুষের মনে রয়েছে নানান বিতর্ক। টুইন টাওয়ারের এই বিমান হামলার দায় জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা স্বীকার করে নিলেও এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দর ও যাত্রাবাহী বিমানের নিরাপত্তা অত্যন্ত শক্তিশালী। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের এরকম শক্তিশালী নিরাপত্তা ভেদ করে, কারো পক্ষে এরকম সন্ত্রাসী হামলা চালানো একেবারেই অসম্ভব।তারা মনে করেন, আল কায়দা যদি এ হামলা চালিয়েও থাকে, এতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের অপর অংশ বলছেন, ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার সময় ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও চিত্রগুলো যেসব প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে, সে সম্পর্কেও কোন মার্কিন নিরাপত্তা বা রাজনৈতিক কর্মকর্তা কখনও কোন জবাব দেননি। এসব প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টা্ওয়ারের পাশে তৃতীয় একটি ভবনে কোন বিমান আঘাত না হানলেও সেটি ধসে পড়েছিল কোন্ কারণে? এছাড়া সুউচ্চ দু'টি টাওয়ারের শীর্ষদেশে শুধুমাত্র বিমান আঘাত হানার কারণে এগুলোর ধসে পড়ার কোন কারণ ছিল না, বরং, আগে থেকেই টাওয়ার দু'টির ভেতরে বোমা পেতে রাখা হয়েছিল এবং বিমান আঘাত হানার পর ওই সব বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। টুইন টাওয়ারের চেয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে অপর একটি বিমানের আঘাত হানার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় রয়েছে আরো বেশি। ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর পেন্টাগনের যে ছবি প্রকাশিত হয়, তাতে দেখা যায় ওই ভবনের বিশাল অংশের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি বিমানের আঘাতে এত বড় ক্ষতি সম্ভব নয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, ঘটনার দিনই পেন্টাগনের ছবিটি প্রকাশিত হয়, এমনকি নিউজ চ্যানেলগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পেন্টাগনের ভিডিও চিত্র প্রচার করে। কিন্তু এসব চিত্রে পেন্টাগনে আছড়ে পড়া বিমান বা এর ধ্বংসাবশেষের কোন ছবি দেখা যায়নি। কোন কোন সূত্রমতে, পেন্টাগনে একটি রকেট আঘাত হেনেছিল, যাত্রীবাহী বিমান নয়। ছবি সূত্রঃ http://goo.gl/SXelnB
টুইনটাওয়ার বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটান এলাকায় অবস্থিত ৭টি ভবনের একটি স্থাপনা। স্থপতি মিওরু ইয়ামাসাকির নকশায় প্রণীত এই স্থাপনাটি সবচেয়ে উঁচু দুটি ভবনের নামানুসারে টুইন টাওয়ার নামেও খ্যাত ছিলো। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে তাদের অর্থায়নে এই স্থাপনাটি নির্মিত হয়। ১৯৬০ সালে ডেভিড রকফেলার, এবং তাঁর ভাই নিউ ইয়র্কের গভর্নর নেলসন রকফেলারের উদ্যোগে এর কাজ শুরু হয়।[২] ২০০১ সালের জুলাই মাসে ল্যারি সিলভারস্টেইন স্থাপনাটিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইজারা নেন। [৩] স্থাপনাটির মোট ব্যবহারযোগ্য দাপ্তরিক এলাকা ছিলো ১৩.৪ মিলিয়ন বর্গফুট (1.24 million m²), যা ম্যানহাটানের মোট দাপ্তরিক এলাকার চার শতাংশের কাছাকাছি।[৪] স্থাপনাটির সর্বোচ্চ দুটি টাওয়ার ১১০ তলা বিশিষ্ট ছিলো। ১৯৭৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি স্থাপনাটিতে আগুন ধরে গিয়েছিলো। পরে ১৯৯৩ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি মূল টাওয়ারদুটি বোমা হামলার শিকার হয়। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মূল ৭টি ভবন ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সাথে জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[৫] এর মধ্যে ৩টি ভবন ভেঙে পড়ে - ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (1 WTC, বা North Tower), টু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (2 WTC, বা South Tower), এবং সেভেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (7 WTC)। ম্যারিয়ট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (3 WTC) ভবনটি 1 WTC ও 2 WTC ভেঙে পড়ার সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। 4 WTC, 5 WTC, এবং6 WTC ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরে ভেঙে ফেলা হয়। একাজে আল-কায়দা কে দায়ী করা হলেও কিছু গবেষক মনে করেন বোম বিমানে ছিলোনা, আগে থেকেই সেখানে ছিলো অর্থাৎ তাদের মতে এটা জর্জ ডব্লিউ বুশের পাতানো হামলা। তবে এ নিয়ে বিতর্ক আছে আর বিতর্ক চলবেই। বলতে গেলে মাত্র একটি ক্যামেরার ভিডিও -ই এর প্রমাণ। তাই এ রহস্য আজীবন হয়তো রহস্যই থেকে যাবে!