মুখে ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগ দূর করতে: ১। কাঁচা ব্রণে সমপরিমাণ লবঙ্গ, তুলসীপাতা, নিমপাতা, পুদিনাপাতা একসঙ্গে পেস্ট করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে সেখানে দাগ হবে না। ২। শুষ্ক ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গ তেল খুব উপকারী। ৩। ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখে চিনি আর দারুচিনি বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। লবঙ্গ বা দারুচিনি ত্বকে লাগানোর পর একটু জ্বালা করবে, এতে কোনো ক্ষতি নেই। রুপচর্চা ২৪. কম
ব্রণ সমস্যা সমাধানের ১১ টিপস ১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মুখমন্ডল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। দিনে অন্তত দু’বার ‘ফেসওয়াস’ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন বিশেষ করে বাইরের ধুলোবালি থেকে আসার পর ও ঘুমাতে যাবার আগে। ২. যাদের মুখমন্ডল তৈলাক্ত তারা তৈলবিহীন প্রসাধন সামগ্রী ও লোশন ব্যবহার করুন। ৩. মুখমন্ডলে ব্রণ হলে তাতে খোঁচাখুঁচি করা, চাপ দেয়া ও চিমটি কাটা থেকে বিরত থাকুন কারণ এতে ইনফেকশন হয়ে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে। ৪. ভিটামিন ও আঁশজাতীয় শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। ৫. অধিক লবণাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ৬. অতিরিক্ত সূর্যালোকে চলাফেরা করার সময় ছাতা বা সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন। ৭. যারা শো-বিজে আছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরে মুখের মেকআপ ভাল করে তুলে ফেলুন। ৮. মানসিক চাপ পরিহার করুন। চিন্তামুক্ত ও ফুরফুরে জীবনযাপন করুন। ৯. দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে এতে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে। ১০. চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান। ১১. দৈনিক কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানি দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ নিঃসরণে সাহায্য করে। এরপরও যদি ব্রণের প্রকোপ দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর কালো দাগ দূর করতে, ঐ স্থানে এক টুকরো লেবুর রস নিয়মিত ঘষুন।
ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
ব্রণের সমস্যা হয়নি এমন মানুষ অনেক কম খুঁজে পাওয়া যাবে। নারী এবং পুরুষ উভয়েই ব্রণ সমস্যায় পরে থাকেন। হরমোনের সমস্যা, বিরূপ আবহাওয়া, ধুলোবালি, রোদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদির কারণে ব্রণ সমস্যা শুরু হয়। সমস্যা হলো ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেলেও ত্বকে রয়ে যায় ব্রণের বিশ্রী দাগ। এই দাগ খুবই অস্বস্তিকর।
ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়, চিকিৎসা
ব্রণের বিশ্রী দাগ মুখের সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দেয়। অনেক নামি দামী প্রোডাক্টও ব্রণের এই দাগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয় না। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এর সমাধান? প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে ব্রণের এই অস্বস্তিকর বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তবে আজকে দেখে নেয়া যাক ব্রণের বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তির খুব সহজ প্রাকৃতিক উপায়গুলো।
মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ভেতর থেকে এই সমস্যার সমাধান করে। মধু হাতের তালুতে নিয়ে মুখে প্রতিদিন ম্যাসেজ করলে এবং প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ মধু খেলে খুব দ্রুত ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া মধুর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ব্রণের দাগ ত্বক থেকে দূর করতে বিশেষ কার্যকর।
গোলাপজল ও চন্দনগুঁড়ো spots-and-acne
১ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়োয় সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হবে দ্রুত।
পুরুষের ত্বকের ব্রণ দূর হবে সহজেই
লেবুর রস
লেবুর রসের অ্যাসিটিক এসিড ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া লেবুর রস ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচায়। প্রতিদিন লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে রেহাই পাবেন।
অলিভ অয়েল
ব্রণ জনিত দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল জাদুর মতো কাজ করে। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শুকিয়ে নিন। এরপর হাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এপর ৩০ মিনিট পর আবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
পুদিনা পাতা
কয়েকটি পুদিনা পাতা পিষে নিয়ে রস বের করে নিন। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে রস টুকু আলাদা করুন। এই রস প্রতিদিন ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন ৩০ মিনিট। এতে দ্রুত ব্রণ জনিত দাগ মিলিয়ে যাবে।
আলু
কাঁচা আলু ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। আলু ধুয়ে মুছে নিয়ে পাতলা করে স্লাইস করে ত্বকে ভালো করে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে আসবে। এবং ধীরে ধীরে ব্রণ থেকে হওয়া দাগ মিলিয়ে যাবে।
ব্রণ ও এজিং থেকে মুক্তির জাদুকরি প্যাক
হলুদ ও পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার রসের সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। ত্বকের ওপর লাগান, বিশেষ করে ব্রণের দাগের ওপর। ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। খুব দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন http://aponardoctor.com/archives/2779#ixzz3qnMWhpdf
গরম মশলার একটি উপাদান লবঙ্গ। এটি ব্রণ দূর করার পাশাপাশি দূর করে ব্রণের দাগও। ব্রণের উপর লবঙ্গ বাটা ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের ক্ষত স্থানে দাগ হবে না। সপ্তাহে একবার লবঙ্গ বাটা ত্বকে লাগালে ত্বকে ব্রণ উঠবে না। এছাড়া, চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে লবঙ্গ বাটা লাগালে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।