৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে চাই
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পাঁচওয়াক্ত নামাজের নিয়ম বিস্তারিতভাবে জানতে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন=> http://jurinews.com.bd/?p=133

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কুরআন ও সহীহ্‌ হাদীসের আলোকে রাসুলুল্লাহ্(সাঃ) এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি আস্‌সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্‌, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান ন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর জন্যে, যিনি জগত সমূহের একচ্ছত্র মালিক, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিক দাতা ও জ্ঞানদাতা। অজস্র শান্তির ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমনী সর্ব শেষ রাসুল ও সর্ব শ্রেষ্ঠ রাসুল, প্রিয় নাবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সহচরগণের উপর। সহিহ হাদিস ভিত্তিক রাসুল (সাঃ) এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি সংক্ষেপে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি ইনশাআল্লাহ: রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমরা সেভাবে সালাত আদায় কর, যে ভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখ”। (বুখারী ১/৮৮,মিশকাত হা/৬৩১,৬৬ পৃঃ) রাসুল (সাঃ) এর সাথে মসজিদে জামায়াতে মহিলারাও সালাত আদায় করতেন(বুখারী); অতএব উপরোক্ত কথাটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য| রাসুল (সাঃ) পুরুষ ও স্ত্রী লোকের জন্য আলাদা কোনো সালাতের পদ্ধতি দেন নি| নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই একই পদ্ধতি| আমাদের সমাজে যে পার্থক্য তৈরী করা আছে তা নিতান্তই কিছু জাল ও বানোয়াট হাদিসের প্রেক্ষিতে মনগড়া তৈরী| আল্লাহ বলেন ''রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর।'' সুরা হাশর ৭ | ''যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। সুরা নিসা ৮০ | অর্থাত পুরুষ ও মহিলার মধ্যে সালাতের পদ্ধতিগত কোনো পার্থক্য নেই| নিয়ত: নিয়ত করা ফরজ| বুখারী ১ম হাদিস| নিয়ত অন্তরে করতে হয়| উচ্চারণ করে 'নাওয়াইতুআন....' নিয়ত পড়ার কোনো দলিল প্রমান নাই| উচ্চারণ করে হোক আরবিতে বা বাংলায় নিয়ত পাঠ করা বিদআত | রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে। আবু দাউদ, তিরমিজি ] অতএব প্রত্যেক বিদআত = বিদাতে হাসানাহ+ বিদাতে সায়িয়াহ = পথভ্রষ্টতা = পরিনাম জাহান্নাম| সমাজে বিদাতে হাসানাহ নামে যা চালু আছে মূলত তা হচ্ছে পথভ্রষ্টতা| কেননা রাসুল (সাঃ) 'প্রত্যেক বিদআত'' বলে উল্লেখ করেছেন| কোনো বিদাতকে আলাদা করে ভালো বলেন নি| সুতরাং আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে| ● সালাত: -------- মহান আল্লাহ বলেন, এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর। [সূরা তা-হা ১৪] সালাতের জন্য দাড়াতে হবে, দাড়াতে অক্ষম হলে বসে, বসতে অক্ষম হলে শুয়ে ইশারায় সালাত আদায় করতে হবে| আল্লাহ বলেন, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকের জন্য, যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে ... [সূরা আলে -ইমরান ১৯০- ১৯১] সালাত যেভাবে শুরু করতে হবে: আমাদের সমাজে সালাত শুরুর পূর্বে জায়নামাজের দুআ পড়া হয় যার কোনই ভিত্তি নাই বরং হাদিসের বিপরীত উল্টো কাজ এবং বিদআত| জায়নামাজের দুআ বলে কোনো দুআ নেই| পাঠক! আবার স্মরণ নিন, আল্লাহ বলেন ''রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর।'' সুরা হাশর ৭ | ''যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। সুরা নিসা ৮০ | রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমরা সেভাবে সালাত আদায় কর, যে ভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখ”। (বুখারী ১/৮৮,মিশকাত হা/৬৩১,৬৬ পৃঃ)| ●১. দাড়ানো:- --------------- মহান আল্লাহ বলেন, সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। সুরা বাকারাহ ১৩৮| সোজা হয়ে কেবলামুখী হয় দাড়াতে হবে| আমাদের দেশে পশ্চিম দিক বলে অনেকে| এটা ঠিক নয়| পশ্চিম থেকেও একটু ডান দিকে হেলে কেবলার দিক| রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন, 'তুমি যখন সালাতের জন্য দাড়াবে তখন কেবলামুখী হয়ে তাকবির বলবে|' বুখারী ও মুসলিম | দুই পায়ের মাঝখানে কতটুকু ফাকা রাখতে হবে তার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই| স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ দাড়ালে দুই পায়ে যতটুকু ফাকা থাকে ততটুকুই| কাতার সোজা করতে গিয়ে প্রয়োজনের নিরিখে যতটুকু ফাকা করতে হয়| গুনে গুনে চার আঙ্গুল পরিমান ফাকা রাখার কোনো ভিত্তি নেই| আবার অনেকে বিশ্রীভাবে অনেকটা চেগিয়ে দারান এরকম করাও ঠিক নয়| পুরুষ মহিলায় এ ক্ষেত্রে কোনই পার্থক্য নাই | কাতারে দাড়ানো: সালাত যখন জামায়াতে আদায় করা হবে তখন কাতার সোজা করতে হবে| কাতারে কাধে কাধ এবং পায়ের গিতে গিত লাগিয়ে দাড়াতে হবে, দুই ব্যক্তির মাঝখানে ফাকা বন্ধ করতে হবে| রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা সালাতে কাতারকে খুব সোজা আরো তথ্য পেতে ভিডিও সহ পেতে এই লিংকে যান https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=524550204266127&id=409778925762873&_rdr

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ