নিউ হরাইজন্স (New Horizons) একটি আন্তঃগ্র্রহ মহাকাশ প্রোব যা জানুয়ারি ১৯, ২০০৬ সালে নাসার নতুন সীমানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে উৎক্ষেপন করা হয়। এস অ্যালেন স্টার্নের নেতৃত্বে একটি দলের সহোযোগীতায় অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি (এপিএল) এবং সাইথইস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট কতৃক নির্মিত এই মহাকাশযান প্লুটো, তার চাঁদ এবং কাইপার বেষ্টনী গবেষণার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। এটি ২০০৬ খৃস্টাব্দের জানুয়ারিতে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত। এটি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নভোগবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার একটি প্রকল্প। প্রকল্প প্রধান নভোবিজ্ঞানী অ্যালান স্ট্যারন। এটি ২০১৫ খৃস্টাব্দের মধ্যে প্লুটোতে পৌঁছুবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্লুটো যাওয়ার পথে এটি বৃহস্পতিগ্রহের গাঁ ঘেঁষেই মহাকাশ পরিভ্রমণ করছে। প্লুটোর অবস্থান পৃথিবী থেকে অনেক দূরে বলে বৃহস্পতির মহাকর্ষ বল কাজে লাগিয়ে নিউ হরাইজনস্ নিজ গতি বৃদ্ধি করেছে। তবে এটি এ যাবৎ প্রেরিত সবচেয়ে বেশী দ্রুত গতি সম্পন্ন মহাকাশযান। বর্তমানে এর গতি ঘণ্টায় ৫০ হাজার মাইল। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য এই মহাকাশযান ৩৪ গিগাবাইট পরিমাণের উপাত্ত সংগ্রহ করে পৃথিবীতে প্রেরণ করবে। পৃথিবী থেকে ৬০০ মিলিয়ন মাইলেরও অধিকতর দূরত্ব থেকে ফটো ও অন্যান্য উপাত্ত পাঠাচ্ছে। এতে অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যামরা সংযোগ করা হয়েছে। এর লক্ষ্যঃ নিউ হরাইজন্স মিশনের লক্ষ্য প্লুটো গ্রহ এবং এর উপগ্রহ শ্যারন সম্পর্কিত তথ্যাদি, কাইপার বেষ্টনী এবং সৌরজগতের প্রাথমিক গঠন উন্মোচন করা। মহাকাশযানটি প্লুটো এবং শ্যারনের পৃষ্ঠ, পরিবেশ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়া কাইপার বেষ্টনীর অন্যান্য বিষয়ও জানার প্রচেষ্টা চালাবে নিউ হরাইজনস। ১৯৬২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত নাসা পরিচালিত ম্যারিনার প্রকল্প যা বুধ, শুক্র এবং মঙ্গল গ্রহ গবেষণার জন্য প্রেরিত হয়েছিল, তার থেকে প্রায় ৫,০০০ গুণ বেশি তথ্য নিউ হরাইজন্স সংগ্রহ করতে পারবে। সূত্র- উইকিপিড়িয়া ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ