যেমন কে তৈরি করেছে,কত সালে,বর্তমানের অবস্থা ইত্যাদি ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১৯৩০এর শেষের দিকে রুডলফৃ আইসিঙের এম. জি. এম অ্যানিমেশন স্টুডিওর অংশ ছিলেন গল্পলেখক ও চরিত্র ডিজাইনার উইলিয়াম হ্যানা এবং অভিজ্ঞ পরিচালক জোসেফ বারবারা যারা জুটিবদ্ধ হয়ে ছবি পরিচালনা করতেন। ছবিগুলোর মধ্যে প্রথমটি ছিল একটি ইঁদুর- বিড়াল কার্টুন যার নাম ছিল “পাস গেটস দ্য বুট” । কার্টুনটির কাজ শেষ হয় ১৯৩৯ সালে থিয়েটার হলে প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৯৪০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। পাস গেটস দ্য বুট এর কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল জ্যাসপার, একটি ধূসর চামড়ার বিড়াল যে তখন পর্যন্ত নাম না জানা একটি ইঁদুরকে ধরার চেষটা করে। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু ভেঙ্গে ফেললে ম্যামী জোর গলায় আর কিছু ভাঙলে জ্যাসপারকে বের করে দেবে বলে শাসিয়ে দেয় (“আ-উউ-ট,আউট”)। স্বাভাবিকভাবেই ইঁদুরটি এই সুযোগটি গ্রহণ করে এবং ভঙ্গুর সবকিছু (যেমন: ওয়াইনের গ্লাস, সিরামিকের প্লেট, চায়ের কাপ) উপরে ছুড়ে ভাঙার চেষটা করে যাতে জ্যাসপারকে বের করে দেয়া হয়। পাস এন্ড দ্য বুট কোন সুচনা সঙ্গীত ছাড়াই মুক্তি পায়। এদিকে হ্যানা ও বারবারা তাদের অন্যান্য পর্বগুলো (ইঁদুর বিড়ালের কাহিনী ছাড়া) পরিচালনা করতে থাকেন। এমজিএম এর অনেক কর্মীকেই তখন বলতে শোনা যায়, ”ইঁদুর-বিড়ালের কার্টুন কি আর কম হল?” ইঁদুর আর বিড়ালের এই জোড়ার প্রতি সবার নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন ঘটে যখন কার্টুনটি থিয়েটার মালিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ১৯৪১ সালে একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্সেসের পক্ষ থেকে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট শর্ট সাবজেক্ট কার্টুনস পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায়। কার্টুনটি অবশ্য এম. জি. এমেরি আরেকটি কার্টুনের কাছে হেরে যায়। কার্টুনটি ছিল রুডলফ আইসিঙ এর “দ্য মিল্কি ওয়ে”। এর পর এম. জি. এম এনিমেশন স্টুডিওর প্রযোজক ফ্রেড কুইম্বলি খুব দ্রুত হ্যানা আর বারবারাকে এক পর্বের কার্টুনগুলো থেকে সরিয়ে ইঁদুর আর বিড়ালকে নিয়ে একটি সিরিজের জন্য নিযুক্ত করেন। হ্যানা আর বারবারা স্টুডিওর ভিতরেই জোড়াটির একটি নতুন নামকরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। প্রতিযোগিতায় অ্যানিমেটর জন কারের প্রস্তাব গ্রহণ করা হল, নাম রাখা হল “টম এন্ড জেরি”। বহু বছর ধরে টমের দৈহিক গড়ণ ও উপস্থাপনার ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ১৯৪০ এর শুরুর দিকে টমের চেহারা ছিল অনেকটি এরকম—রোমশ পশম, মুখে অসংখ্য ভাঁজ,ভ্রু এর অনেক মার্কিং। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সবগুলেই পরবর্তীকালে আরো মসৃণ করে বেশী মাত্রায় কর্মোপযোগী করা হয়। জেরি অবশ্য সারা সিরিজের সময়জুড়ে প্রায় অপরিবর্তিতই থাকে। ১৯৪০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে, সিরিজটি আরও বেশি দ্রুত এবং স্প্রিহিত হয়ে ওঠে যার নেপথ্যে রয়েছে ১৯৪২ এ এম. জি. এম এ যোগ দেয়া টেক্স এভারীর অবদান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ