2tai oboshwo palonio tobe parthokko ki?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যে বিধানটি ক্বতয়ী তথা অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। তাকে ফরজ বলা হয়। অর্থাৎ যা আল্লাহর নির্দেশিত পালনীয় আমল হবার বিষয়ে বিন্দু পরিমাণ কোন সন্দেহ না থাকে। সেটি ফরজ। যেমন নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি। ফরজ অস্বিকারকারী কাফের। ﻓﺎﻟﻔﺮﺽ ﺃﻋﻢ ﻣﻨﻬﻤﺎ )ﻣﻦ ﺍﻟﺸﺮﻁ ﻭﺍﻟﺮﻛﻦ ( ﻭﻫﻮ ﻣﺎ ﻗﻄﻊ ﺑﻠﺰﻭﻣﻪ، )ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺍﺭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻮﺿﻮﺀ-1/94 ) ﻭﻫﻮ ﺑﻤﻌﻨﻰ ﻗﻮﻟﻬﻢ: ﻣﺎ ﻟﺰﻡ ﻓﻌﻠﻪ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻗﻄﻌﻰ، )ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ-1/24 ) ﻭﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﻣﻨﺤﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ-1/24 ) ﻓﺮﺿﻴﺔ: ﻭﻫﻰ ﻣﺎ ﻻ ﻳﺤﺘﻤﻞ ﺯﻳﺎﺩﺓ ﻭﻻ ﻧﻘﺼﺎﻧﺎ، ﺛﺒﺖ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻻ ﺷﺒﻬﺔ ‎ﻓﻴﻪ: )ﻧﻮﺭ ﺍﻷﻧﻮﺍﺭ166- ) আর, যা করার আদেশটি জন্নী দলীল তথা ফরজের তুলনায় দুর্বল দলীল দ্বারা প্রমাণিত তা ওয়াজিব। ﻭﺍﺟﺐ: ﻭﻫﻮ ﻣﺎ ﺛﺒﺖ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻓﻴﻪ ﺷﺒﻬﺔ، )ﻗﻤﺮ ﺍﻷﻗﻤﺎﺭ ﺣﺎﺷﻴﺔ ﻧﻮﺭ ﺍﻷﻧﻮﺍﺭ166- ) ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴﺔ ﻓﻴﻘﻮﻟﻮﻥ.…… ﻭﺍﻟﻮﺍﺟﺐ، ﻓﻬﻮ ﻣﺎ ﺛﺒﺖ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻇﻨﻰ ﻓﻴﻪ ﺷﺒﻬﺔ، )ﺃﺻﻮﻝ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﺍﻹﺳﻼﻣﻰ-1/47 ) ওয়াজিব অস্বিকারকারী গোমরা এবং ফাসিক হয়। কাফের হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ


ফরজ এবং ওয়াজিব বিধানের পার্থক্য :

১। ফরয আল্লাহ প্রদত্ত এমন বিধান যা সুনিশ্চিতরূপে অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রমাণিত, যাতে বিন্দুমাত্র সংশয়ের অবকাশ নেই। ফরয দুই প্রকার। যথা : ফরযে আইন ও ফরযে কিফায়া।
ফরযে আইন : যে বিধান পালন করা প্রতিটি সাবালক নর নারীর উপর সমভাবে অত্যাবশ্যক।
ফরযে কিফায়া : যে বিধান কতক লোক মিলে পালন করলে তার দায় থেকে সকলেই মুক্তি লাভ করে। পক্ষান্তরে কেউ না পালন করলে সকলেই ফরয পরিত্যাগ করার দোষে দোষী সাব্যস্ত হয়। কেউ ফরয বিধান পালন না করলে সে ফাসেক বলে বিবেচিত হবে এবং পরকালে কঠিন শাস্তির উপযুক্ত হবে। আর ফরয অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যায়।
২। ওয়াজিব :
যে বিধান সুনিশ্চিত দলীলের আলোকে প্রমাণিত নয়; বরং প্রবল ধারণাপ্রসূত দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণিত তাকে ওয়াজিব বলা হয়। কার্যত ওয়াজিব ফরয বিধানের মতই অবশ্য কর্তব্য। তবে এর অস্বীকারকারী কাফের সাব্যস্ত হবে না। মু’জামুল মুস্তালাহাতিল ফিকহিয়্যা ৩/২০২,৩৪৩, কামুসুলফিকহ ৩/২৪৭,২৮৯, ৪/৪৫২, ৫/৮৯, ২৫৬, আলমাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ ১০/২০৫,২০৬, ৩২/৯৫, ২৫/২৭৫, মু’জামুল ফকীহ ৩১৯।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ