Call

মহান আল্লাহ কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যাবতীয় বিধি-বিধান দানের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। রাসূলুললাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ ইসলামের বিধান মানার ক্ষেত্রে রাসূলুললাহ (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কারো তাক্বলীদ করতেন না। অনুরূপভাবে তাবেঈগণও নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির তাক্বলীদ না করে কেবলমাত্র কুরআন ও সুন্নাহর ইত্তেবা করতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হ’ল, বর্তমান যুগে মুসলমানগণ ইসলামের বিধান থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। এক্ষেত্রে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত : ১- উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, যাঁরা মুজতাহিদ নামে খ্যাত। তাঁদের জন্য অন্য কারো তাক্বলীদ করা বৈধ নয়। ২- মধ্যম জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, যাঁরা তাফসীর, হাদীছ, ফিক্বহ এবং আক্বীদায় যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং দলীল গ্রহণের ক্ষেত্রে ছহীহ ও যঈফ হাদীছের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম, তাঁদের জন্যও অন্য কারো তাক্বলীদ করা বৈধ নয়। ৩- সাধারণ মানুষ, যাদের কুরআন ও সুন্নাহর কোন জ্ঞান নেই, তাদের জন্য উপরোক্ত দুই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত যেকোন আলেমের নিকট জিজ্ঞেস করা বৈধ। কারণ আল্লাহ বলেছেন- ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ . ‘তোমরা যদি না জান, তাহ’লে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর’ (নাহল ৪৩) । তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির মত অথবা নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের তাক্বলীদ বা অন্ধানুসরণ করা বৈধ নয়। তবে হ্যা, একটি দেশে একাধিক ইসলামী দাওয়াতি মিশন থাকতেই পারে, এতে দ্বীন প্রচার আরো বেগবান হবে। কিন্তু সঠিকতার বুলি আউরিয়ে মহানবীর (সাঃ) রেখে যাওয়া একটি কাফেলাকে শতধাবিভক্ত করা আর যাইহোক ইসলামের শিক্ষা নয়। এখনই সময়, আমাদের মাঝে বিদ্যমান সকল ভেদাভেদ ভুলে একই প্লাটফরমে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ