প্রতিদিন রাতে শোয়ার পুর্বে কমলা লেবুর খোসা দিয়ে দাতে ঘষে নিন। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম রাতভর আপনার দাঁতের সুরক্ষা দেবে। সপ্তাহখানিক চালিয়ে গেলে ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়া বেকিং সোডা আর টুথপেস্টের মিশ্রণ দিয়ে সপ্তাহে দু-তিনদিন দাত ব্রাশ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করলেও দাতের হলদেটে ভাব দূর হবে।
♥»— ২ মিনিটে দাঁত হলুদ থেকে সাদা করবে কলার খোসা ৷ ♥»— প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা।দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী।খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়।এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ।কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়।আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে। ♥»— কলা উলটো করে ছিলে নিন।দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে।উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই। ♥»— খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। ♥»— এবার সকালে দাঁত ব্রাশ teeth করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন।প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন।তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট।অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। ♥»— ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো।এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না।সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন। ♥এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো,৪/৫দিন এমন করার পরেই দেখবেন দাঁত আগের চাইতে অনেক পরিষ্কার।ভালো ফল পাইলে মন্তব্য করে জানাবেন।
বিশেষ করে চা, কফি বা এই ধরনের পানীয় পান করার ফলে দাঁতে হলদেটে ছোপ পড়তে পারে। তাছাড়া ধূমপানের ফলেও দাঁতের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। তাই হাসি আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিষ্কার সাদা দাঁত চাইলে কিছু সাধারাণ অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। একটি স্বাস্থবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অবলম্বনে দাঁত সাদা করার কিছু সাধারণ উপায় তুলে ধরা হয়। পান করার পর ব্রাশ করা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করাই সব থেকে ভালো, তবে সবসময় এটি করা হয় না। বিশেষ করে কোথাও বেড়াতে গেলে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বেশিরভাগ খাবারই দাঁতে দাগ ফেলে না, তবে যারা কফি খেতে ভালোবাসেন এবং যারা ধূমপান করেন তাদের দাঁতে দাগ পড়া খুবই স্বাভাবিক। তাই খাওয়ার পরপরই দাঁত মাজতে না পারলেও তিনমাস অন্তর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত পরিষ্কার করানো যেতে পারে। বেকিং সোডা দাঁত ঝকঝকে করতে বেকিং সোডার জুরি নেই। পেস্টের সঙ্গে কিছুটা বেকিং সোডা নিয়ে সাধারণভাবে দাঁত মাজলেই দাঁত পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং হলদেটেভাব দূর হবে। পেস্ট ছাড়াও শুধু বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁতের হলদেটে ভাব দূর হয়। তবে বেকিং সোডা বেশ অমসৃণ। তাই এটি ব্যবহারের সময় অল্প পরিমাণ নিয়ে পানি বা পেস্টের সঙ্গে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে তবেই দাঁতে ব্যবহার করতে হবে। অলিভ অয়েল শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি! অলিভ অয়েল দাঁতের হলদেটেভাব দূর করে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই। ব্রাশ করার পর দাঁতে খানিকটা অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিতে হবে। দুইভাবে অলিভ অয়েল দাঁতে লাগানো যাবে, দাঁত মাজার ব্রাশে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে আবারও দাঁত ব্রাশ করতে হবে। অথবা পরিষ্কার কোন কাপড়ে অলিভ অয়েল নিয়ে দাঁতে লাগাতে হবে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কফি এবং নিকোটিনের কারণে দাঁতের হলদেটে দাগ দূর করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খুবই কার্যকর একটি উপাদান। প্রথমে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে দাঁত মাজার পর সাধারণ টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলেই দাঁত পরিষ্কার ও ঝকঝকে হয়ে যাবে। লেবু ও কমলার খোসা দাঁত সাদা করার আরও একটি সহজ উপায় হল লেবু বা কমলার খোসা ব্যবহার। তবে এর এসিডিক উপাদান দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে। তাই সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। স্ট্রবেরি স্ট্রবেরি পেস্ট করে মুখের ভিতর দাঁতের উপর ভালোভাবে ছড়িয়ে লাগিয়ে নিতে হবে। স্ট্রবেরির মধ্যে আছে ব্লিচিং উপাদান যা দাঁতের হলদেটেভাব দূর করে দাঁত ঝকঝকে করে তুলে। তাছাড়া দাঁতে স্ট্রবেরি ঘষে নিলেও কাজ হবে।