দেখুন, শুধু রোযা থাকা অবস্থায় নয়, সর্বাবস্থায় বায়ূ ছাড়লেই ওজু নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ বায়ূ নিঃসরণ ওজু ভঙ্গের অন্যতম একটি কারণ। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﺃَﻭْ ﺟَﺎﺀَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻣِّﻨْﻜُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻐَﺎﺋِﻂِ ﺃَﻭْ ﻻَﻣَﺴْﺘُﻢُ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀَ ﻓَﻠَﻢْ ﺗَﺠِﺪُﻭْﺍ ﻣَﺎﺀً ﻓَﺘَﻴَﻤَّﻤُﻮْﺍ ﺻَﻌِﻴْﺪًﺍ ﻃَﻴِّﺒًﺎ- ‘অথবা তোমাদের কেউ পেশাব-পায়খানা থেকে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রী সম্ভোগ কর, তবে যদি পানি না পাও তাহ’লে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর’ (নিসা ৪৩) । এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ﻻَ ﺗُﻘْﺒَﻞُ ﺻَﻼَﺓُ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺪَﺙَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄَ. ‘যে ব্যক্তির ওযূ ভঙ্গ হয়েছে তার ছালাত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওযূ না করে’।[বুখারী, হা/১৩৫]
অজুর ফরজ ৪টি ============ ১· মাথার চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মুখ কমপক্ষে একবার ধোয়া। ২· দুই হাত কনুই সহ কমপক্ষে একবার ধোয়া। ৩· মাথার চার ভাগের এক ভাগ কমপক্ষে একবার মাছেহ করা। ৪· দুই পা টাকনু সহ কমপক্ষে একবার ধোয়া। এখন যেহেতু উনি পানির তলে বায়ূ ছেড়েছে অজু নষ্ট হয়েও যেন নষ্ট হয়নি, কেননা ঐ অবস্হায় পানির ভেতর থাকার কারণে তার অজু পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। কারণ পানির ভেতর থাকার দরুণ অজু করতে যে সব অঙ্গ ধোতে হয়, তা ধোয়া হয়ে যায়।