আমার এক বান্ধবী যে কিনা দীর্ঘ ৩ বছর প্রেম করার পরে সম্পর্কে বিচ্ছেদ টানলো। ভুল বোঝাবুঝি আর অবিশ্বাসের টানাপোড়েনে ৯ মাস ভোগার পরে এই ইতি টানলো সে। আমার প্রশ্ন হল বিশ্বাসের এই সম্পর্কগুলোতে আসলে ব্রেক আপ আসে কেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
fahim99

Call

প্রেমের সম্পর্কগুলোতে আসলে বিভিন্ন কারণে ব্রেকআপ হতে পারে। অবিশ্বাস, একজন আরেকজনকে সম্মান না করা, সন্দেহ, প্রকৃত ভালো না বাসা, পরিবারের বাধা, ক্যারিয়ারে অসচেতনতা ইত্যাদি নানা কারণে প্রেমের সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে যায়। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসাগুলো শত বাধা সত্ত্বেও টিকে থাকে এই পৃথিবীর বুকে। আপনার বান্ধবীর যে কারণে ব্রেক আপ হয়েছে তা হয়ত খুবই সাধারণ একটি কারণ। এমন কারণে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার কাপলের বিচ্ছেদ ঘটছে। তবে এমন বিচ্ছেদকে সবাই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে। এসময় তাদের মানসিকভাবে অনেক বেশি শক্ত থাকা উচিত এবং জীবনের বাকি সময়টুকু ভালোভাবে থাকার প্রতিজ্ঞা করা উচিত কারণ শুনতে বেদনাদায়ক হলেও সত্যি যে জীবন কারও জন্য থেমে থাকে না। তবে দেখা যায় পৃথিবীতে কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যেগুলোর নিশ্চিত পরিণতি হলো ব্রেকআপ। যতই টেনেহিঁচড়ে সম্পর্কের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, এক সময় না এক সময় তা ব্রেকআপ পর্যন্ত গড়াবেই। আসুন জেনে নেয়া যাক সেসকল সম্পর্কের কথা যেগুলোর শেষ পরিণতি হয় ব্রেকআপঃ পুরনো প্রেমকে ভুলে থাকার জন্য সম্পর্কঃ পুরনো প্রেমকে হারানোর পরে অনেকেই এ ধরণের সম্পর্ক করে থাকে। অনেকদিনের পুরনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ একাকীত্বে ভোগে। আর এই একাকীত্ব দূর করার জন্য অনেকেই ঝোঁকের মাথায় নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ ধরণের সম্পর্কের পরিণতি দুজনের জন্যই খারাপ হয় এবং এর শেষ পরিণতি হয় ব্রেকআপ। কারণ একটা নির্দিষ্ট সময় পর পুরনো প্রেমের কষ্ট কিছু কম হলে বর্তমান প্রেমিক/প্রেমিকার সকল দোষ-ত্রুটি চোখে ধরা পড়তে শুরু করে, জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। শুধরে নেয়ার জন্য সম্পর্কঃ অনেক মেয়েকেই দেখা যায় এমন কারো সাথে প্রেম করে যাকে সমাজ খারাপ হিসেবেই চিনে। সাধারণত এ ধরণের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য থাকে সহানুভুতি ও শুধরে নেয়ার চেষ্টা। এই প্রবণতাটা কমবয়সী মেয়েদের মাঝে বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর তাই তাঁরা প্রেমের বখাটে ও নেশাগ্রস্থ ছেলেদের প্রেমে জড়িয়ে যায় এবং তাদেরকে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইধরনের চেষ্টা বিফলে যায় এবং তীব্র মানসিক যন্ত্রণা পাওয়ার পর এর পরিণতি হয় ব্রেকআপ। ভিন্ন সামাজিক স্ট্যাটাসের সম্পর্কঃ সাধারণত একই ধরনের বা কাছাকাছি সামাজিক ও আর্থিক স্ট্যাটাসের সম্পর্কগুলোই বেশি সফল হয়। দুজনের সামাজিক ও আর্থিক স্ট্যাটাসে আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকলে সাধারণত সেই সম্পর্কগুলো সফল হয় না এবং ব্রেকআপ হয়ে যায়। কেবলমাত্র সিনেমাতেই এই ধরনের সম্পর্কের সফলতা দেখা সম্ভব। শারীরিক চাহিদা নির্ভর সম্পর্কঃ যে ধরনের সম্পর্কে বিয়ের আগেই যৌনসম্পর্ক করার জন্য অধিক চাহিদা থাকে এবং শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর করা হয়, সেই ধরনের সম্পর্ক সাধারণত বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় না এবং বিয়ের আগেই ব্রেকআপ হয়ে যায়। কেবল মাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য এবং অনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ ধরণের সম্পর্ক করা হয় বলে বেশিদিন টেকে থাকে না এধরণের সম্পর্কগুলো। একপক্ষ নির্ভর সম্পর্কঃ কেবলমাত্র এক পক্ষের জোরাজুরিতে করা সম্পর্কগুলো হলো একপক্ষ নির্ভর সম্পর্ক। অনেক সময় অনেকে আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে কিংবা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে পছন্দের মানুষটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, এ ধরণের সম্পর্কগুলোতে কেবলমাত্র একপক্ষই আন্তরিক থাকে। ফলে সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না, তখন এসব সম্পর্কের ফলাফল হয় ব্রেকআপ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ