শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে নির্ভরযোগ্য এমন কাউকে জানাতে হবে যে মানসিক সাহস যোগাতে পারবে। ধষর্ণের শিকার নারী বা শিশু তাৎক্ষণিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। কাউকে জানালে, তার সাথে কথা বললে, মানসিক সান্ত্বনা পেলে মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা সম্ভব। অন্যথায় আত্মহত্যা বা জীবননাশসহ অন্য যে কোন ধরণের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ধর্ষণের ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে কাজে লাগানোর জন্যও ঘটনাটি কাউকে জানানো উচিত। যে কাউকেই ধর্ষণ সম্পর্কে জানানো যায়। সে আত্মীয়, বন্ধু, ডাক্তার এমনকি পুলিশ অফিসারও হতে পারে। ধর্ষণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা দায়ের করতে হবে। কারণ ধর্ষণের পর মামলা করতে দেরি হলে ধর্ষণ প্রমাণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ধর্ষণের শিকার নারী বারবার গোসল করে নিজেকে পরিস্কার করতে চায়। ফলে শরীরের বেশির ভাগ আলামত বা সাক্ষ্যপ্রমাণ ধুয়ে-মুছে যায়। সুতরাং যত খারাপই লাগুক নিজের স্বার্থেই ডাক্তারি পরীক্ষার আগে গোসল করা যাবে না। ধর্ষণের সময় পরনে যে কাপড় ছিল তা ধোয়া বা পরিস্কার করা যাবে না। কারণ কাপড়ে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি থাকে। ওই কাপড় কোনোভাবেই পলিথিনের ব্যাগে রাখা যাবে না। কাগজের ব্যাগে বা কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে এবং সেভাবেই এই কাপড় থানায় নিয়ে যেতে হবে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থানায় অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করতে হবে। এজাহার যে কেউ দায়ের করতে পারেন। যে নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে তাঁর জবানবন্দী পুলিশকে গ্রহণ করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পুলিশ অফিসারের অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশু বাধ্য নন। ধর্ষণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারি পরীক্ষা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭২ ঘন্টার মধ্যেই পরীক্ষা করানো জরুরি, কেননা এরপর আর খুব বেশি সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ