শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এক- আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, «إن الله يحب العطاس، ويكره التثاؤب، فإذا عطس أحدكم وحمد الله تعالى كان حقًا على كل مسلم سمعه أن يقول له: يرحمك الله، وأما التثاؤب فإنما هو من الشيطان، فإذا تثاءب أحدكم فليرده ما استطاع فإن أحدكم إذا تثاءب ضحك منه الشيطان» رواه البخاري. “আল্লাহ্ তা‘আলা হাঁচিকে পছন্দ করেন এবং হাইকে অপছন্দ করেন। যদি তোমাদের কেউ হাঁচি দেয় এবং আলহামদুলিল্লাহ বলে, তখন যে মুসলিম কথাটি শুনল, তার উপর ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। আর হাই, এটি শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। যখন তোমাদের কোনো ব্যক্তির হাই আসে, সে যেন তার সাধ্যমত তাকে প্রতিহত করে। কারণ, তোমাদের মধ্যে যে কেউ হাই দেয়, তাকে নিয়ে শয়তান হাসা-হাসি করে। বুখারি । দুই- আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, «إذا عطس أحدكم فليقل: الحمد لله، وليقل له أخوه أو صاحبه: يرحمك الله فإذا قال له: يرحمك الله فليقل: يهديكم الله ويصلح بالكم» رواه البخاري. “রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, তোমাদের মধ্য হতে কেউ যখন হাঁচি দেয় সে যেন الحمد لله ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য’ বলে। আর সাথের ভাই বা সঙ্গী বলবে, يرحمك الله ‘আল্লাহ তোমার উপর দয়া করুক’ আর যখন লোকটি يرحمك বলবে, তার উত্তরে বলবে, يهديكم الله ويصلح بالكم ‘আল্লাহ তোমাদের হেদায়েত দেন এবং তোমাদের অবস্থা সংশোধন করে দিক’। বুখারি তিন- আবু মুসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, سمعت رسول الله  يقول: «إذا عطس أحدكم فحمد الله فشمتوه فإن لم يحمد الله فلا تشمتوه» رواه مسلم. “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করে, তখন তোমরা তার উত্তর দাও। আর যদি লোকটি আল্লাহর প্রশংসা না করে, তাহলে তোমরা তার উত্তর দিও না”।বর্ণনায় মুসলিম। চার- আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, عطس رجلان عند النبي  فشمت أحدهما ولم يشمت الآخر، فقال الذي لم يشمته: عطس فلان فشمته، وعطست فلم تشمتني؟ فقال: «هذا حمد الله، وإنك لم تحمد الله» متفق عليه. “রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর দরবারে দুইজন লোক হাঁচি দিল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ একজনের হাসির উত্তর দেন, অপর জনের হাসির উত্তর দেন নি। যার হাঁচির উত্তর দেয়নি সে বলে, অমুকের হাঁচির উত্তর দিলেন আর আমি হাঁচি দিয়েছি কিন্তু আমার হাঁচির উত্তর দেন নি? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ তাকে বললেন, “সে লোকটি আলহামদুলিল্লাহ বলেছে। আর তুমি তা বলোনি”। [বুখারি ও মুসলিম ] পাঁচ- আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, «كان رسول الله  إذا عطس وضع يده أو ثوبه على فيه، وخفض أو غض بها صوته» شك الراوي رواه أبو داود والترمذي وقال: حديث حسن صحيح. “রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ যখন হাঁচি দিতেন, সে তার হাতকে মুখের উপর রাখতেন অথবা কোন কাপড়কে মুখের উপর রাখতেন এবং তার আওয়াজকে ছোট করতেন বা নিম্ন স্বরে হাঁচি দিতেন। বর্ণনাকারী সন্দেহ করেন”। বর্ণনায় আবু-দাউদ ও তিরমিযী । ইমাম তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান ও সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। ছয়- আবু মুসা আশয়ারি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, كان اليهود يتعاطسون عند رسول الله  يرجون أن يقول لهم: يرحمكم الله فيقول: «يهديكم الله ويصلح بالكم» رواه أبو داود والترمذي وقال: حديث حسن صحيح. “ইয়াহুদীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর দরবারে হাঁচি দিতেন, আর তারা আশা করত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ তাদের জন্য يرحمكم الله বলবেন। কিন্তু তিনি বলতেন يهديكم الله ويصلح بالكم ‍‍“আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়াত দান করুন এবং তোমাদের চরিত্রকে সংশোধন করে দিক”। বর্ণনায় আবু-দাউদ ও তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান ও সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন । সাত- আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, قال رسول الله  «إذا تثاءب أحدكم فليمسك بيده على فيه، فإن الشيطان يدخل» رواه مسلم. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, তোমাদের কেউ যখন হাই তুলে, সে যেন তার হাতকে তার মুখের উপর রাখে। কারণ, অন্যথায় শয়তান প্রবেশ করে। বর্ণনায় মুসলিম ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ