শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১. কুরবানীর গোশত কুরবানীদাতা ও তার পরিবারের সদস্যরা খেতে পারবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন : ﴿فَكُلُواْ مِنۡهَا وَأَطۡعِمُواْ ٱلۡبَآئِسَ ٱلۡفَقِيرَ ٢٨ ﴾ [الحج: ٢٨] ‘অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।’ [সূরা আল-হজ্জ: ২৮] ২. উলামায়ে কিরাম বলেছেনঃ কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজেরা খাওয়া, এক ভাগ দরিদ্রদের দান করা ও এক ভাগ উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের দান করা মুস্তাহাব। ৩. কুরবানীর গোশত যতদিন ইচ্ছা ততদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। কুরবানীর গোশত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا» “তোমরা নিজেরা খাও ও অন্যকে আহার করাও এবং সংরক্ষণ কর।” [সহীহ আল-বুখারী : ৫৫৬৯] ৪. কুরবানীর পশুর গোশত, চামড়া, চর্বি বা অন্য কোনো কিছু বিক্রি করা জায়েয নেই। কসাই বা অন্য কাউকে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানীর গোশত দেওয়া জায়েয নয়। হাদিসে এসেছে : «وَلَا يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا شَيْئًا» ‘আর তা প্রস্তুতকরণে তা থেকে কিছু দেওয়া হবে না।’ [বুখারী -১৭১৬] তবে দান বা উপহার হিসেবে কসাইকে কিছু দিলে তা না-জায়েয হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ