যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী আকর্ষণ বলের বিষয়টি বস্তুদুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব আর বস্তুদ্বয়ের ভরের ওপরও নির্ভর করে। ভর বেশি হলে বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী আকর্ষণ বেশি হবে এবং ভর কম হলে এ আকর্ষণ বলের মান হবে এর ঠিক উলটো। এখন পানির একটি অণুর ভর কল্পনা করুন। পৃথিবী কর্তৃক এর ওপর আকর্ষণ কম হলেও একেবারেই নগণ্য নয়। তবে পানির আণবিক ওজন অত্যন্ত কম হওয়ার কারণেই তা বাষ্পাকারে উড়ে যেতে পারে। তবে আপনি যে ঘটনার কথা বলেছেন তা শুকনো বস্তুটির বা কাপড়ের শোষণ ক্ষমতার কারণে ঘটে থাকে।
এক্ষেত্রে পানিটা উপরে উঠে আসে কৈশিক ক্রিয়ার কারণে । এবার আসি কৈশিক ক্রিয়া কি ? কৈশিক ক্রিয়া হলো কোনো তরলকে সংকীর্ণ পথে প্রবাহিত করার ক্ষমতা। এই ঘটনার সময় কোনো বল সেখানে কাজ করে না; এমনকী মধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো বহিস্থ: কোনো শক্তিও নয়। রঙতুলিতে তরল উঠিয়ে আনার সময় এমনটা দেখা যায়[এক্ষেত্রে শুকনো কাপড়ে পানি উঠে আসা]। পাতলা টিউব বা ঝাঁঝরসদৃশ সুক্ষ্ণ বস্তু (যেমন কাগজ অথবা প্লাস্টার) এবং কিছু ঝাঁঝরবিহীন বস্তুতেও (যেমন: বালি) এই ঘটনা ঘটে থাকে। তরল এবং ঘিরে থাকা কঠিন তলের মধ্যকার আন্ত:আণবিক বলের কারণে এটা ঘটে। নলের ব্যাস যথেষ্ট ক্ষুদ্র হলে তরল আর পাত্রের দেওয়ালের পৃষ্ঠটান এবং সংযুক্তি বলের সমন্বয়ে তরল ওপরে উঠে আসার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। আমাদের এক্ষেত্রে কাপড়ে তন্তুগুলোর আর পানির মধ্যকার পৃষ্ঠটান ও সংযুক্তি বলের সমন্বয় ঘটে । এই একই ঘটনা কেরোসিনের বাতি ও মোমবাতির সলতে তে ও ঘটে ।