শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

 শরীয়তের দৃষ্টিতে গান-বাজনা করা ও শোনা হারাম ও কবীরা গোনাহের অন্তর্ভূক্ত। তা যে কোন গানই হোক না কেন। যেমনঃ

নবী তত্ত্ব, মুর্শীদি, জারী, কাওয়ালী, পল্লীগীতি, ভাওয়ালী, ভক্তিমূলক ইত্যাদি যে কোন প্রকার গানই হোক না কেন। তবে, বাজনা বা বাদ্য-যন্ত্র ব্যতীত আল্লাহ তায়ালার গুনাবলী বিষয়ে হামদ, নাত, কাসীদা, গজল ইত্যাদি পাঠ করা ও শোনা জায়েয রয়েছে। গান-বাজনা হারাম হওয়া সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত হচ্ছেঃ

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًاঅর্থঃ “আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে।” [ সূরা লুকমানঃ আয়াতঃ ৩১:৬ ]

এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ‘লাহওয়াল হাদীছ’ অবলম্বন করে, সে দোজখের কঠিন শাস্তি প্রাপ্ত হবে, কাজেই তা হারাম। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ‘লাহওয়াল হাদীছ’ কি ? উক্ত আয়াত-এ বর্ণিত ‘লাহওয়াল হাদীছ’-এর ব্যাখ্যায় তাফসীরে ইবনে কাছীরঃ ৮ম খণ্ড, ৩/৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছেঃ লাহওয়াল হাদীছ’-এর অর্থ- সঙ্গীত বা গান-বাজনা। বেশীর ভাগ তাফসীরকারকগণ ‍লাহওয়াল হাদিস বলতে গানকে বুঝিয়েছেন।ইবনে মাসউদ (রাদিঃ) বলেছেনঃ উহা গান। ইমাম হাসান বছরী (রহিঃ) বলেছেনঃ উহা গান ও বাদ্য শানে নাজিল হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে সম্বোধন করে বলেছেনঃوَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِكَ অর্থঃ “তোমার কন্ঠ দিয়ে তাদের মধ্যে যাকে পারো প্ররোচিত করো।” [ সূরা বনি ইসরাঈলঃ আয়াতঃ ১৭:৬৪।]

এ আয়াত-এর ব্যাখ্যায় তাফসীর ইবনে জারীর-এর ১৫/৭৬ পৃষ্ঠায় আল্লামা ইবনে জারীর তাবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন যেঃ “হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত আয়াত সম্বন্ধে বলেন, শয়তানের শব্দ অর্থ হচ্ছে ক্রীড়া ও সঙ্গীত বা গান-বাজনা সুতারাং গান বাজনা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ