শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চুল পড়ার প্রধান কারণগুলো হল ১। অজানা ২। বংশগত ও ফিজিওলজিক্যাল ৩। সাইকোলজিক্যাল ৪। দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ ৫। জীবাণুঘটিত- পিটাইরোস্পোরাম ও ভাল ৬। বিশেষ ওষুধ সেবনে সৃষ্ট ৭। হরমোনাল- কিছু বিশেষ হরমোন দায়ী ৮। ঋতুজনিত আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা ৯। পুষ্টি সমস্যা ১০। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ইত্যাদি। প্রথমে বলে রাখি সমস্যা যদি বংশগত হয় তাহলে কোনো সমাধান নেই। তবে বেশিরভাগ কারণগুলোর মধ্যে খুশিকি অন্যতম। তিনটি কারণে মাথায় খুশকি হয়ে থাকেঃ -মাথার খুলির ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণ বেশি হলে, বিশেষভাবে ম্যালাসেজিয়া বা পিটাইরেসিস গ্রম্নপের ইস্টের পরিমাণ বেড়ে গেলে। -তেল গ্রন্থি (সেবাসিয়াস গ্রন্থি) থেকে ত্বকের তৈলাক্ত উপাদান বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হলে। -অনেকে জেনেটিক সূত্রে খুশকির ঝুঁকিতে থাকেন। খুশকি হলে এর প্রভাবে মাথায় প্রচণ্ড চুলকানি ছাড়াও নিয়মিত চুল পড়তে পারে। এমতাবস্থায় আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সাধারণ শ্যাম্পু কিংবা তেল ব্যবহার করি কিংবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছুই করি না। যার ফলে বিভিন্ন প্রকার সেকেন্ডারী ব্যাকটেরিয়াল কিংবা ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার ভেতর সেবোরিক ডার্মাটাইটিস এবং টিনিয়া ক্যাপাইটিস অন্যতম। খুশকি দূরীকরণে চুল ধুয়ে তাতে কিটোকোনাজল ২% শ্যাম্পু বা ড্যানসেল ভালভাবে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুল ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২ বার করে ২-৪ সপ্তাহ ব্যবহারে খুশকি কমে যাবে। যাদের নিয়মিত খুশকি হয় তারা ১ বা ২ সপ্তাহ পর পর প্রতিরোধক হিসেবে এই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন, এতে তারা খুশকিমুক্ত থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন। ড্যানসেল শ্যাম্পু বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকর এবং নিরাপদ। প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক হিসাবে ধরে নেওয়া হয় তবে এর থেকে বেশি পড়া স্বাভাবিক নয়। মাথায় চুল বেশি বড় রাখবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ