গুপ্তাংগের লোম কাচি দিয়ে কাটলে নাকি গরীব হয়ে যায়,এ কথা কি ইসলাম সমর্থন করে?দলিলসহ জানতে চাই।ধন্যবাদ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Junait

Call

এটা একটা কুসংস্কার মাত্র। বাস্তবে এর কোন ভিত্তি বা দলিল নেই। ইসলাম ধর্ম কুসংস্কার বিশ্বাস করে না এবং কুসংস্কার সমর্থন করে না, তাই এমন চিন্তাভাবনা করবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এ প্রসঙ্গে হাদীসে পাকের বর্ণনা নিম্নরূপ-

عن انس بن مالك قال وقت لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم حَلْقَ العَانَةِ وتقلِيمَ الاظفار وقَصَّ الشارب ونتف الاِبطِ أربعين يومًا مرّةً- (رواه مسلم-২৫৮)

অর্থাৎ- হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য ৪০ দিনে কমপক্ষে একবার নাভীর নিচের লোম/চুল পরিষ্কার করার, নখ কাটার, গোঁফ ছাঁটার এবং বগলের নিচের পশম মুন্ডানোর সময়-সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। [সহীহ মুসলিম শরীফ: হাদীস নম্বর ২৫৮] 

হারিস ইবনু মিসকীন (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্গত। খাতনা করা, নাভির নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলা, গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপরে ফেলা।

(সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৯ ইবনু মাজাহ হাঃ ২৯২, বুখারি হাঃ ৫৮৮৯, মুসলিম ইসলামিক সেন্টার হাঃ ৫০৫ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

গুপ্তাঙ্গের লোম চেঁছে ফেলাই সুন্নাত। অবশ্য তা কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করে তুলে ফেলাও বৈধ।



গুপ্তাংগের লোম কাঁচি দিয়ে কাটলে গরীব হয়ে যায়, এ কথা ইসলাম সমর্থন করে না। এটা কুসংস্কার।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ