শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মৃত্যু কী? এ নিয়ে নানান কৌতুহল। তাই নিচের লিখাটি পড়ুন।

ডার্টমুথের নিউরোলজি অ্যান্ড মেডিসিনের প্রফেসর জেমস বারনাট বলেন, ‘কোনো ধরনের লাইফ সাপোর্টে না থাকা কোনো ব্যক্তির হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে বা শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে বা কয়েক মিনিট রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এটা মৃত্যুর প্রথাগত বা প্রচলিত ধারণা। এ রকম আরও ধারণা রয়েছে। তবে মৃত্যুর কোনো সুনির্দিষ্ট মুহূর্ত নেই বা এমন কোনো সুনির্দিষ্ট একটি মুহূর্ত নেই, যখন একজন ব্যক্তির সর্বাঙ্গ একসঙ্গে মারা যায়। মৃত্যুর আগে শরীরে ধারাবাহিক ছোট ছোট মৃত্যু ঘটে। 

জেমস বারনাট বলেন, মৃত্যুর দুটি সংজ্ঞা রয়েছে। প্রথাগত একটি সংজ্ঞা হলো কোনো ধরনের লাইফসাপোর্টে না থাকা ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন ও শ্বাসযন্ত্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া। 
 অপর স্নায়বিক সংজ্ঞা হলো ‘মস্তিষ্কের মৃত্যু’। এর মানে মস্তিষ্কের সব ধরনের ক্রিয়াকলাপ ও সক্ষমতা অপরিবর্তনীয় বা স্থায়ীভাবে স্থগিত হয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস চালু থাকতে পারে। তবে কিছু দেশ এবং ধর্ম মস্তিষ্কের মৃত্যুকে মৃত্যু বলে গ্রহণ করে না। তবে বেশির ভাগই গ্রহণ করে থাকে। কারণ, আমাদের প্রযুক্তি এখন অত্যাধুনিক। তবে এরপরও আমরা আরও কয়েকটি প্রশ্ন করতে পারি, যা মৃত্যুর ঘোষণার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, অল্প কিছু স্নায়ু যদি সচল থাকে, তবে কি তা মস্তিষ্কের মৃত্যুর এই সংজ্ঞার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়? পূর্ণাঙ্গ মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘোষণার আগে মস্তিষ্কের কতটুকু অংশ ‘মৃত’ হওয়া প্রয়োজন? শরীরের অন্যান্য অংশ কতটা সময় কার্যকর থাকে?
কেনেডি ইনস্টিটিউট অব এথিকসের রবার্ট ভেচ বলেন, ‘মৃত্যুর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা মূলত একটি ধর্মীয় বা দার্শনিক প্রশ্ন।’
জীববিজ্ঞানের ভাষায়, প্রাণ আছে এমন কোনো জৈব পদার্থ বা জীবের জীবনের সমাপ্তিই হলো মৃত্যু। তা হলে জীবন কী? গবেষক, শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক আহমদ শরীফ সংক্ষেপে জীবনের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘জাগ্রত সময়ের অনুভূত চেতনার সমষ্টিই জীবন।’ তাহলে এই সংজ্ঞা অনুযায়ী, চেতনার স্থায়ী বিনাশই হলো মৃত্যু। অর্থাৎ মস্তিষ্কের মৃত্যু মানেই মৃত্যু। তবে এ ক্ষেত্রেও রয়েছে জটিলতা। মস্তিষ্কের মৃত্যু হলে চিকিৎসকেরা রোগীকে মৃত জ্ঞান করেন, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করতে পারেন না যতক্ষণ পর্যন্ত হৃৎস্পন্দন বন্ধ না হয়। মাহফুজ উল্লাহ বলেন, স্থায়ীভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ না হলে কাউকে মৃত ঘোষণা করা যায় না। এ জন্য চিকিৎসকেরা প্রয়োজনে ইসিজি করে নিশ্চিত হন। ে(সংগৃহীত)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ