আপনি যদি
সেই টাকা ব্যবসা দাড় করার পর ফেরত দিয়ে দেন
তাহলে ব্যবসা হালাল হবে। তবে এই ঋণের মাধ্যমে লাভ দেওয়া নেওয়া করা যাবেনা।
যেমন, কাউকে এক হাজার টাকা ধার দেওয়া এবং ফেরত নেওয়ার সময় বেশী নেওয়া। এটা স্পষ্ট সুদ যা হারাম।
ঋণের আরবী শব্দ কার্য , যা
প্রচলিত বাংলা ভাষায় কর্জ নামে পরিচিত। এর বাংলা
সমার্থবোধক শব্দ হচ্ছে, দেনা, ধার, হাওলাদ
ইত্যাদি।
শরীয়তের পরিভাষায় ঋণঃ মাল-পণ্য অপরকে
প্রদান করা, যেন তার মাধ্যমে সে উপকৃত হয়,
অতঃপর দাতাকে সেই মাল কিংবা তার অনুরূপ ফেরত
দেওয়া।
ঋণের বৈধতাঃ ঋণ প্রথা বৈধ, যা সুন্নত এবং ইজমা
(ঐক্যমত) দ্বারা প্রমাণিত। [মুগনী, ইবনু
কুদামাহঃ ৬/৪২৯]
ঋণের মাধ্যমে লাভ অর্জনঃ ইসলামে ঋণের
উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষকে সাহায্য করা, তাদের
প্রতি দয়া করা তথা তাদের জীবন-যাপনে
সহযোগিতা করা,সহযোগিতার আড়ালে সুবিধা
অর্জন নয়। তাই বলা হয়েছে, ঋণের উদ্দেশ্য
হবে আধ্যাত্বিক বৃদ্ধি বাহ্যিক বৃদ্ধি নয়। আর তা
হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এই কারণে ঋণ
গ্রহীতা ঋণ ফেরত দেয়ার সময় যা নিয়েছে তা
কিংবা সেই অনুরূপ ফেরত দিতে আদিষ্ট, অতিরিক্ত
নয়। ঋণ দাতা এর অতিরিক্ত নিলে কিংবা ঋণ গ্রহীতা
অতিরিক্ত ফেরত দিলে, তা সুদ হিসাবে গণ্য হবে।
কারণ ফিক্হী মূলণীতিতে উল্লেখ হয়েছে,
‘কুল্লু কার্যিন র্জারা নাফ্আন ফাহুআ রিবা।’ অর্থাৎ
প্রত্যেক ঋণ, যার মাধ্যমে লাভ উপার্জিত হয়, তা
সুদ।