শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

দিন ও রাতের কিছু নফল নামায-

  • তাহিয়্যাতুল অজুর নামায
  • অজু করার পরপরই এই নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়। ওয়াক্ত মাকরুহ হলে, মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অজু করে দুই রাকাত নামাজ ইখলাসের সঙ্গে পড়বে, তার বেহেশত লাভ হওয়া অবধারিত।’ (মুসলিম ও আবু দাউদ)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি অজু ভাঙার পর অজু করল না, সে আমাকে অবজ্ঞা করল; আর যে ব্যক্তি অজু করার পর দুই রাকাত (নফল) নামাজ পড়ল না, সেও আমাকে অবহেলা করল।
  • দুখুলিল মাসজিদের নামায
  • মসজিদে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে, বসার আগেই দুই রাকাত দুখুলিল মাসজিদ নামাজ পড়তে হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন বসার আগেই তার দুই রাকাত নামাজ পড়া উচিত।’ (হাদিস)। তবে যদি মাকরুহ ওয়াক্ত হয়, তাহলে মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হলে পড়বে। এ জন্য বসে অপেক্ষা করতে পারবে। 
  • ইশরাকের নামায
  • আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে, যে ব্যক্তি ফযরের নামায আদায় করে সেই স্থানে বসে সূর্য উদয় পর্যন্ত যিকির-আযকার করে। এর পরে দু’ রাকা’আত নামায পড়ে।তাহলে তার আমল নামায় পরিপূর্ণ এক হাজ্জ ও উমরার সওয়াব লিখা হবে। ( তিরমিযী:৫৮৬)
  • চাশতের নামায
  • আমি আয়েশা রাযি কে জিজ্ঞেস করলাম যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাশতের নামায কয় রাকা’আত পড়তেন? তিনি বললেন, চার রাকা’আত। এবং বেশীও পড়তেন (কোন সময়) আল্লাহর চাওয়া অনুযায়ী। 
  • আওয়াবিনের নামায
  • আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকা’আত নামাজ মধ্যিখানে কোন ধরণের খারাপ কথা না বলে আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তাকে বার বছর ইবাদত করার সমতুল্য ছওয়াব দান করবেন। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ