বিজ্ঞান শুধু মাত্র মানুষের দৈহিক,মানসিক এবং কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।কারো ব্যাক্তিগত কাজ বা ইচ্ছা-আকাঙ্খার ব্যাখ্যা দেয়য় নাই।মানবদেহে অসংখ্য জিন থাকে।প্রতিটি কাজের/বৈশিষ্ট্যের জন্য আলাদা আলাদা জিন। জিনতত্ত্বে বলা হয়েছে, পিতার থেকে একটা জিন এসে মাতার জিনের সাথে মিলিত হবে এসময় যে জিনটা বেশি প্রভাব বিস্তার করবে সেটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়িই সন্তান জন্ম নিবে।যেমন ধরুন,শরীরের রং কি রকম হবে? এক্ষেত্রে পিতা যদি কালো হয় আর মাতা যদি ফর্সা হয়,তাহলে এ দুটো জিন একত্রিত হবে।এসময় পিতার জিন বেশি প্রভাব ফেললে সন্তান কালো আর মাতার হলে ফর্সা হবে।ঠিক এমন ভাবেই সন্তানের চুলের রং,নাক,কান,ঠোট,চেহারার গঠন,ভ্রু,উচ্চতা,রাগি স্বভাব/মিষ্ট স্বভাব,হাত পায়ের আঙ্গুল ও নখ ইত্যাদি জিন দ্বারা গঠিত হয়।কিছু কিছু জিন শুধু মাত্র পিতা বা মাতার উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।যেমন,যদি ছেলে সন্তান হয় তাহলে পিতার বা বংশের পুরুষ অনুযয়ি জনন তন্র গঠিত হবে।অর্থ্যাৎ,পিতার বা বংশের লোকেদের যদি পুরুষাঙ্গ বড় থাকে তাহলে সেই ছেলেরও পুরুষাঙ্গের আকার তাদের মতে হবে এবং অন্ডকোষও।এমনি ভাবে মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রেও মায়ের ও মায়ের বংশের মানুষের মতো যোনি,স্তন ইত্যাদি হবে।এছাড়াও কিছু কিছ জিনের সঠিক ভাবে মিলন না হওয়ার কারনে একদম নতুন ধরনের বৈশিষ্ট্য তৈরী হয়।সুতরাং,ব্যাক্তিগত জিবনে পিতা বা মাতা যা করবে সন্তানও যে তাই করবে এটা ভুল ধারনা।কারো জৈবিক প্রয়োজনে বা চাহিদা অনুযায়ি যদি কয়েকটি বিবাহ করে তার মনে এই নয় যে তার ছেলেও অনেক বিবাহ করবে।কারণ,এটা তার একান্তই ব্যাক্তিক এবং চারিত্রিক আচরন।