প্রকৌশল পেশাদারি ও সমাজমুখী ব্যবহারিক বিজ্ঞানের একটি বৃহৎ ক্ষেত্র, যেখানে গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক শাখাগুলিতে আলোচিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বল ও পদার্থের ধর্মাবলিকে শাসনকারী বৈজ্ঞানিক বিধি ও মূলনীতিগুলি অধীত হয়; এবং যুগের আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে, বাস্তব বিশ্বের অভিজ্ঞতা, যুক্তি, কল্পনা ও সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টির সহায়তা নিয়ে এবং ত্রুটিহীনতা, দীর্ঘস্থায়িত্ব, দ্রুততা, সরলতা, দক্ষতা, অর্থসাশ্রয়, অপচয় হ্রাস, জানমালের নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিবিধান করে এই বিধি ও মূলনীতিগুলিকে সচেতনভাবে প্রয়োগ করে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন সম্পদ ও শক্তিকে (যান্ত্রিক, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক, ইত্যাদি) কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে নতুন, উদ্ভাবনী ও সাধারণত জটিলতর কোনও প্রযুক্তি (যেমন পদার্থ, বস্তু, কাঠামো, স্থাপনা, যন্ত্র, যন্ত্রাংশ, সরঞ্জাম, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, সংস্থান বা সিস্টেম) অথবা একাধিক প্রযুক্তির সমবায়ের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ, এগুলির নির্মাণকাজে অন্য অনেক শ্রমিক মানুষকে সংগঠিতকরণ, যথাযথ নির্দেশনা প্রদান, পরিচালনা ও তদারকিকরণ কিংবা শিল্পক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পণ্যদ্রব্য হিসেবে এগুলির উৎপাদন, নির্মাণ-পরিবর্তী বা উৎপাদন-পরিবর্তী কালে নকশা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিতি নিয়ে এগুলি চালনা ও ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, প্রদত্ত চালনার শর্তে এগুলির ভবিষ্যৎ আচরণ, কর্মদক্ষতা ও খরচ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী প্রদান, ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল প্রকৃতির সম্পদকে মানুষের ব্যবহারযোগ্য কোনও রূপে রূপান্তরিত করে কোনও ব্যবহারিক সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধান করে মানবজাতির উপকার ও কষ্টলাঘব করা।