শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বিয়ে ফরজ হওয়ার জন্য যে শর্ত ইসলাম আরোপ করেছে তা হলো- বিয়ের প্রয়োজনীয়তার সাথে সাথে তা সম্পন্ন করার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা। তবে কারো চাহিদা আছে তবে সম্পন্ন করার সামর্থ নেই, তাহলে সে রোযা রাখবে। উল্লেখ্য, কোন মেয়ের ক্ষেত্রে যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে তার অভিভাবকের কর্তব্য মেয়েকে বিবাহ দেওয়া। তবে যদি তার অভিভাবক কোন গাফলতি দেখায় তাহলে সে গোনাহগার হবেন মেয়ে নির্দোষ বলে বিবেচিত হবে। তাই বিবাহ করা না করা চাহিদা ও সামর্থ নির্ভর বন্ধ্যাত্ব হওয়া না হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিবাহ করা ফরজ→যে ব্যাক্তির আর্থিক এবং শারীরিক সামর্থ্য আছে এবং সে যৌন বাসনা নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না,তার উপর বিবাহ করা ফরজ, বিবাহ করা সুন্নত→যে ব্যাক্তির আর্থিক এবং শারীরিক সামর্থ্য আছে এবং সে যৌন বাসনা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে কিনা ভয় আছে,এক্ষেত্রে তার উপর বিবাহ করা সুন্নত। বিবাহ করা নফল→যে ব্যাক্তির আর্থিক এবং শারীরিক সামর্থ্য আছে এবং সে যৌন বাসনা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে এক্ষেত্রে কোন সন্দেহ নাই,এক্ষেত্রে তার উপর বিবাহ করা নফল। বিবাহ করা হারাম→যে ব্যাক্তির শারীরিক সামর্থ্য নাই (হিজরা),এক্ষেত্রে তার উপর বিবাহ করা হারাম। খেয়াল করুন এখানে বন্ধ্যাত্বের কোন কথাই বলা হয় নি।কারণ,মেডিকেল পরিভাষায় বন্ধ্যাত্ব কোন যৌন ক্রিয়ার অক্ষমতা নয়,এটি শুধু মাত্র সন্তান জন্ম দিতে অক্ষমতাকে বুঝায়।তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে আল্লাহ চাইলে তাদের সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা দিয়ে দিবেন।এমন হাজারো দম্পতি আছেন, যারা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে পেরেছেন। তাই কেউ যদি আগে থেকে বন্ধ্যাত্বের রিপোর্ট পেয়ে বিবাহ করতে সম্মত না হয় তাহলে এটাকে ইসলাম সমর্থন করে না।কারণ,সব কিছুর মালিক আল্লাহ তায়াল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ