আপু আসলে বাচ্চার শরীরে থাকা রক্ত গুলো মায়ের শরীর থেকে আশে অর্থাৎ মায়ের পেট এ থাকা কালিন বাচ্চার শরীর তৈরি হয়। একজন মা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় ঐ মা খুব বেশি রক্তশল্পতা ভোগেন , মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চার খাবার বাচ্চার নাভি দাড়া পেটে যায় আর এই খাবার হলো মায়ের ঋতুস্রাব রক্ত এখানে বাচ্চার দেহ একজন মায়ের রক্তের বিনিময়ে সবল হয়ে উঠে। আসলে যখন বাবা মায়ের ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর সংমিশ্রণ হয় , তখন দুটোর মিশ্রণে বাচ্চার প্রথম ডি এন এ তৈরি হয়, যা থেকে ধীরে ধীরে কোষ বিভাজনের সময় আরও ডি এন এ তৈরি হতে থাকে, এখানে বাচ্চার সাথে তার মা ও বাবার ডিএনএ এর মিল থাকতে পারে । কিন্তু একজন বাচ্চা ছোট থেকে অর্থাৎ মায়ের জরায়ুতে থাকা ছোট্ট একটা ডিম থেকে বাচ্চা উৎপন হয় এবং সেটা আসতে আসতে দির্ঘ ৯/১০ মাস পর্যন্ত মায়ের শরীরে থেকে মায়ের রক্তের বিনিময়ে একজন বাচ্চার ভিতরে থাকা সকল কিছুইর আবির্ভাব ঘটে এতে শুধু বাবার ডিএনএ এর উপস্থিত রয়েছে।যার কারনে আপনার পেটে সন্তান এসেছে আর তাই আপনার শাশুরি বলে তাদের রক্তের বাচ্চা। আসলে এটা সমাজের একটা কুসংস্কার কথা। একজন বাচ্চার উপর অধিকার মায়ের বেশি। তবে ফিজিক্যাল ও রিলেশনশ এরর মধ্যে বাবা মায়ের সমান অধিকার রয়েছে সন্তানের উপর।কাজেই প্লিজ এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করবেন না। আশা করি বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ
সাধারণভাবে বললে, একটি বাচ্চার সকল কোষীয় উপাদানের অর্ধেক পায় মায়ের কাছ থেকে, অর্ধেক পায় বাবার কাছ থেকে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারটাও এরকম। যখন শুক্রাণু ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরী করে, সেই প্রথম ভ্রুণীয় কোষের অর্ধেক ক্রোমোজম ডিম্বাণুর অর্থাৎ মায়ের, বাকি অর্ধেক বাবার। এই ক্রোমোজমই চারিত্রিক ও শারীরিক বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রক। আবার বাচ্চা যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখনও সরাসরি মায়ের রক্ত বাচ্চার ধমনিতে প্রবাহিত হয় না (প্রমাণ, বাচ্চা ও মায়ের ভিন্ন রক্তের গ্রুপ)। বরঞ্চ, মায়ের রক্ত থেকে বাচ্চা খাদ্য উপাদান শুষে নেয়। তা থেকেই সে নিজে রক্ত তৈরী করে। একটি বাচ্চা জন্ম দিতে অবশ্যই বাবার থেকে মায়ের অবদান বেশী। মা দশ মাস কষ্ট সহ্য করে। শুধু তা-ই নয়, নিজের শরীর থেকে খাবারের ভাগ দেয়, বাচ্চার ওজন বয়ে চলতে হয়। আরো কতো কি... কিন্তু বাচ্চার প্রতি আবেগ, ভালোবাসা দুজনেরই সমান থাকে। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি কথা, বাচ্চা জন্মের সময় মায়ের মস্তিষ্কে যেব হরমোন নির্গত হয়, ওই একই হরমোন বাবার মস্তিষ্কেও নির্গমন হয়। সুতরাং, ভালোবাসা কারোরই কম থাকে না। এটা কোন বিতর্কের বিষয় হতে পারে না। আপনার শ্বশুর বাড়ির মানুষদের এগুলো বুঝতে হবে। বুঝাতে হবে। বাবার ভালোবাসা শেষ হতে পারে, তবে মায়ের ভালোবাসা অফুরন্ত।