এককভাবে আপনি কাউকে বাংলা বর্ণমালার আবিষ্কারক বলতে পারবেন না। ব্রাহ্মীলিপির উত্তর ভারতীয় লিপিরুপ থেকে জন্ম কুষাণ লিপি, যা থেকে পরে গুপ্তলিপি। গুপ্তলিপির ক্রমবিবর্তন এর ফলে সিদ্ধমার্তৃকা লিপি এবং এই সিদ্ধমার্তৃকা লিপির কালক্রমিক পরিণতিই বর্তমান বাংলা লিপি। আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর হাত ধরে প্রমিত বাংলা লিপির উত্তরন ঘটে। চার্লস উইলকিন্স, পঞ্চানন কর্মকার, উইলিয়াম কেরি ও উইলিয়াম ওয়ার্ডফোর্ড এর হাত ধরে বা এদের ক্রমবর্ধমান মিলিত প্রচেষ্টার ফলে বাংলা লিপির চেহারার ক্রমন্বয় উন্নয়নের ফসলই আজকের বাংলা বর্ণমালা। আর ভিনসেন্ট ফিগিন্স সম্ভবত প্রথম বাণিজ্যক ভাবে বিক্রয়ের জন্য বাংলা হরফ তৈরী করেছিলেন। ধন্যবাদ
প্রাকৃতের বাতাবরণে সংস্কৃতভাষার গর্ভে বাংলাভাষার জন্ম। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরবাংলাভাষার, বিশেষত বাংলা গদ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধান পুরুষ ও অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। তিনিই প্রথম বাংলাভাষার পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ লিখেছেন, যা মূলত সংস্কৃত ব্যাকরণেরই প্রসারণ হলেও আজ অব্ধি বাংলাভাষার ব্যাকরণ এই আদলের মধ্যেই রয়েছে।