শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মোহাম্মদ বিন তুগলকের শাসনামলে (১৩২৫-১৩৫১) ডাক বিভাগের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান সূচিত হয়। ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে লিপিবদ্ধ আছে যে তিনি সে সময় দুই ধরনের ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার একটি হলো ঘোড়সওয়ার ডাকবাহক এবং অন্যটি পায়ে হাঁটা সাধারণ ডাকবাহক। ইবনে বতুতা লিখেছেন, সিন্ধু থেকে দিল্লী ডাক পরিবহণে অত্যন্ত কম সময় ব্যয় হত। তুগলকদের শাসনামলে ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা আংশিকভাবে পুলিশের দায়িত্বও পালন করত।

শেরশাহ’র শাসনামলে (১৫৩৮-১৫৪৫) ডাক ব্যবস্থার সার্বিক সংস্কার সাধন করা হয়। তিনি পূর্বের ডাক রানার ব্যবস্থার পরিবর্তে পুরোপুরি ঘোড়ার সাহায্যে ডাক পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করেন এবং বাংলাদেশের সোনারগাঁও থেকে সিন্ধুনদের তীর পর্যন্ত  গ্রান্ট ট্রাঙ্ক রোড নামে খ্যাত ৪,৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক রাস্তা তৈরি করেন। তিনি প্রতি দুই মাইল অন্তর একটি করে চৌকি তৈরি করেন যেগুলি সরাইখানা এবং ডাকচৌকি রূপে ব্যবহূত হতো। শেরশাহ ১,৭০০টি ডাকঘর নির্মাণ করেন এবং ঘোড়াসহ প্রায় ৩,৪০০ জন বার্তাবাহক নিযুক্ত করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ