মিথিলার কবিতা। অনন্ত,মেহেদী পাতা
দেখেছো নিশ্চয়ই..ওপরে
সবুজ,ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-
বিক্ষত.!নিজেকে
আজকাল,রড় বেশী মেহেদী
পাতার মত মনে হয়
কেন..ওপরে আমি অথচ
ভেতরে কষ্টের যন্তনার এমন
সব বড় বড় গর্ত যে,তার
সামনে দাড়াতে নিজেরই
ভয় হয়,অনন্ত।
তুমি কেমন আছো?বিরক্ত
হচ্ছো নাতো?ভালোবাসা
যে মানুষকে অসহায়ও করে
তুলতে পারে,সেদিন তোমায়
দেখার আগ পর্যন্ত আমার
জানা ছিল না।তোমার
উদ্দাম ভালোবাসার দূত্যি
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার
করে ফেলেছে আমার
ভেতর,আমার বাহির.!আমারই
হাতে গড়া আমার পৃথিবী।
অনন্ত,যে মিথিলা সুখী হবে
বলে ভালোবাসার পূর্ন চন্দ্র
গিলে খেয়ে ভেজা মেঘের
মত উড়তে উড়তে চলে
গেল,আজও শূন্য অনন্তকে আরও
শূন্য করে দিয়ে।তার মুখে
এসব কথা মানায়না,আমি
জানি।কিন্তু আমি আর
এভাবে,এমন করে পারছি
না..!আমার চারদিকের
দেয়াল জুড়ে থৈ থৈ করে
আমার স্বপ্ন ক্ষুণে রক্ত,উদাস
দুপুরে বাতাসে শিস দেয়
তোমার সেই ভালোবাসা.!
পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে
ছায়ার মতন তোমারই সৃতি।
আমি আগলাতেও
পারিনা,আমি ফেলতেও
পারিনা..।সুখী হতে চেয়ে
এখন দেখি দাড়িয়ে আছি
একলা আমি,কষ্টের তুষার
পাহারে.!অনন্ত.,তোমার
সামনে দাড়ানোর কোন
যোগ্যতাই আজ আমার
অবশিষ্ট নেই।
তবুও...তবুও,তুমিই একদিন
বলেছিলে-
"ভেজা মেঘের মত অবুঝ
আকাশে উড়তে
উড়তে..জীবনের সুতোয় যদি
টান পরে কখনো,চলে
এসো,চলে এসো.,বুক পেতে
দিবো।আকাশ বানাব,আর
হাসনা-হেনা ফোটাব.."
সুতোয় আমার টান
পড়েছে,অনন্ত।তাই আজ
আমার সবকিছু আমার
একরোখা জেদ,তুমিহীন সুখী
হওয়ার অলীক স্বপ্ন..।সব,সব
কিছু জলাণ্জলী দিয়ে
তোমার সামনে আমি নত
যেন।আমায় তোমাকে আর
একবার ভিক্ষে দাও..!কথা
দিচ্ছি,তোমার অমর্যাদা
হবে না কোনদিন।
অনন্ত,আমি জানি,এখন একলা
পাষান কষ্টনিয়ে ঘুরে
বেড়াও।
প্রচন্ড এক অভিমানে ক্ষনে
ক্ষনে গর্জে ওঠে
অগ্নিগিরি কেউ জানে না,
আমি জানি।কেন তোমার
মনের মাঝে মন থাকে
না,ঘরের মাঝে ঘর থাকে
না।উঠোন জোরা রূপোর
কলস,তুলসী তলের ঝরা
পাতা,কুয়ো তলার শূন্য
বালতি,বাসন-
কোসন,পূর্নীমার আমাবস্যার
একলা ঘরে এই অনন্তের একা
একা শুয়ে থাকা কেউ জানে
না,আমি জানি।কেন তুমি
এমন করে কষ্ট পেলে,সব
হারিয়ে বুকের তলের চিতা
নলে।কেন তুমি নষ্ট হলে.,কার
বিহনে চুপি চুপি ধীরে
ধীরে,কেউ জানে না,আমি
জানি..!আমিই জানি..!
আগামী শনিবার ভোরের
ট্রেনে তোমার কাছে
আসছি।অনন্ত..,
আমায় আর কিছুনা দাও,অন্তত
শাস্তিটুকু দিও.!ভালো
থেকো,তোমারই হারিয়ে
যাওয়া_মিথিলা...