ঘূর্ণন - একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার গতিকে ঘুর্ণন গতি বলে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র বিন্দু থেকে গতিশীল বস্তুটির দূরত্ব দ্রুব থাকবে।...... চলন গতি- এই গতির ক্ষেত্রে বস্তুর প্রতিটা কণার সরণ হবে এক সমান আর গতিও এক সমান। বাস্তবে এই গতি সম্ভব নয়। কেননা, বস্তু তে বিদ্যমান কণা সর্বদাই গতিশীল।...... দোলন গতি- এই গতি ঘূর্ণন গতির মতোই , তবে এই গতির ক্ষেত্রে বস্থুটি সব সময় একই দিকে ঘুরবে না। অর্ধেক সময় যে দিকে সরণ হবে ; বাকী অর্ধেক সময় তার বিপরীত দিকে সরণ হবে। তবে কেন্দ্রের সাথে বস্তুর দূরত্ব দ্রুব থাকবে।
যদি কোন বস্তু একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বা বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘোরে, তবে সেটি ঘূর্ণন গতি। আর কোন বস্তুর সকল কণা সমান সময়ে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে, তবে তাকে চলন গতি বলে। আর কোন বস্তু পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোন নির্দিষ্ট দিকে আর বাকি অর্ধেক সময় তার বিপরীতে চলে, তবে তাকে দোলন গতি বলে। এটাই এদের মূল পার্থক্য।
কোনো বস্তু যদি তার কেন্দ্র বিন্দুর চারিদিকে ঘুরে তাকে ঘূর্ণন গতি বলে।
কোন বস্তুর গতি যদি একটি সরলরেখা বরাবর হয় তবে এ গতিকে চলন গতি বলে।
পর্যাবৃত্ত গতি সম্পন্ন কোন বস্তুকণা যদি এর পর্যায়কালের অর্ধেক সময় একটি নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় পূর্বগতির বিপরীত দিকে চলে তবে তার সে গতিকে স্পন্দন গতি বলে। স্পন্দন গতিকে দোলন গতিও বলে।
ঘূর্ণন গতির ক্ষেত্রে বস্তু তার কেন্দ্র বিন্দুর চারিদিকে ঘুরতে থাকে। চলন গতি ক্ষেত্রে বস্তু এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যেতে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। দোলন গতির ক্ষেত্রে বস্তু এক পর্যায়কাল সময় এদিক এবং বাকি অর্ধেক সময় বিপরীতমুখী হয়।
এখানেই এদের মূল পার্থক্য ।