শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জ্বি,অবশ্যই তা সম্ভব।তবে যদি সেই নারী একাত্ববাদী ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়(ইহুদি,খ্রিস্টান উভয়ের ক্ষেত্রে) আর যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে না মানলেই  ইহুদি,খ্রিস্টান নারীকে বিবাহ করা সম্ভব (খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Md Ashif

Call

‘আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো সব ভালো বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমার খাবার তাদের জন্য বৈধ। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপত্নী গ্রহণকারী হিসেবে নয়’। {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৫}

এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সতী-সাধ্বী খ্রিস্টান ও ইহুদীদের বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন।

ইমাম ইবন কাছীর রহিমাহুল্লাহ বলেন, আল্লাহ সাধারণভাবে শিরকে লিপ্ত সব নারীকে বিয়ে করা হারাম ঘোষণা করেছেন, চাই সে মূর্তিপূজক কিংবা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ভুক্ত হোক। তবে পরবর্তীতে মায়িদার আয়াতে তাদের মধ্যে কেবল আসমানী কিতাবধারী সচ্চরিত্রা নারীদের বিশেষভাবে বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আহলে কিতাব নারীদের বিবাহ করা বৈধ। শর্ত হল, স্বাধীন ও পুত পবিত্র হতে হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো সব ভালো বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমার খাবার তাদের জন্য বৈধ। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপত্নী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫] এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা সতী-সাধ্বী খ্রিস্টান ও ইহুদীদের বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন। মূলতঃ কুরআনের পরিভাষায় ইহুদী ও নাসারা জাতিই আহলে কিতাবের অন্তর্ভুক্ত। যারা তাওরাত ও ইঞ্জীলের প্রতি বিশ্বাসী। [ইবনে কাসীর] এখানে ইহুদী ও নাসারা মহিলাদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তা হলো, তাদেরকে অবশ্যই ‘মুহসানাহ’ বা সংরক্ষিত মহিলা হতে হবে। সুতরাং তাদের মধ্যে যারা সংরক্ষিত বা নিজের লজ্জাস্থানের হেফাযতকারিনী নয়, তারা এর ব্যতিক্রম। [সাদী] তবে তাদের মধ্যে ব্যভিচারিণী ও খারাপ চরিত্রের মহিলা মুমিনদের জন্য হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন: ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারী ব্যতীত বিবাহ করে না এবং ব্যভিচারিণী ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ ব্যতীত বিবাহ করে না, আর মুমিনদের জন্য ব্যভিচার করা হারাম হয়েছে। [সূরা নূর ২৪:৩]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ